পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ভার্চুয়াল উপস্থিতিই আদালতে ‘সশরীর উপস্থিতি’ হিসেবে গণ্য করে অধ্যাদেশ জারি করা হযেছে। গতকাল রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনমন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র। সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মুদ্রণ-প্রকাশনা শাখা থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’ জারি করেন। অবিলম্বে এই গেজেট কার্র্যকর করা হবে।
প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়, ‘যেহেতু মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় প্রদানকালে পক্ষগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করিবার উদ্দেশে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা প্রদানের বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; যেহেতু সংসদ অধিবেশনে নেই এবং প্রেসিডেন্টের নিকট ইহা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে; সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩ (১) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রেসিডেন্ট এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন।’
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে কোনো আদালত, এই অধ্যাদেশের ধারা ৫ এর অধীন জারিকৃত প্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) সাপেক্ষে, অডিও, ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্র্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষগণ বা তাহাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিতক্রমে যে কোনো মামলার বিচার বা বিচারিক অনুসন্ধান, বা দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, বা সাক্ষ্য গ্রহণ, বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ, বা আদেশ বা রায় প্রদান করিতে পারবে।’
এছাড়া ‘অডিও, ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিচারপ্রার্থী পক্ষগণ বা তাদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি বা ক্ষেত্রমত, দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসরণ করতে হইবে।’ এছাড়া ‘কোনো ব্যক্তির ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করা হইলে ফৌজদারি কার্যবিধি বা দেওয়ানি কার্যবিধি বা অন্য কোনো আইনের অধীন আদালতে তাহার সশরীরে উপস্থিতি বাধ্য-বাধকতার শর্ত পূরণ হয়েছে বলে গণ্য হবে।’
এই অধ্যাদেশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগ সময় সময় প্রাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।’ এর আগে গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।