Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ডিজিটাল পদ্ধতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী পালিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জনসমাগম পরিহারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে সারাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার এ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘আমি ভয় করব না ভয় করব না’ শীর্ষক প্রায় এক ঘণ্টার একটি বিশেষ অনুষ্ঠান নির্মাণ করে যা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে একযোগে স¤প্রচারিত হয়। গতকাল মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে শোনান জনপ্রিয় বাচিক শিল্পী ডালিয়া আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এর আগে সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় গান হে নূতন, দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ´ পরিবেশিত হয়। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবিতা ‘দুঃসময়’ আবৃত্তি করে শোনান আরেক জনপ্রিয় বাচিক শিল্পী মাহিদুল ইসলাম। বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অদিতি মহসীন এর কণ্ঠে ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব বিষম ঝড়ের বায়ে’ পরিবেশনের পর নুনা আফরোজ এর রচনা, পোষাক ও মঞ্চ পরিকল্পনা এবং নির্দেশনায় ‘প্রাঙ্গণেমোর’ নাট্যদলের নাটক ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ এর অংশবিশেষ দেখানো হয়। ডালিয়া আহমেদ আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথের আরেক জনপ্রিয় কবিতা ‘বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদেয় এল বান’। এরপর শিল্পী আজিজুর রহমান তুহিন গেয়ে শোনান রবীন্দ্রনাথের গান যেতে যেতে একলা পথে নিবেছে মোর বাতি এবং মাহিদুল ইসলাম আবৃত্তি করে শোনান ‘বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা’।
লিয়াকত আলী লাকীর নির্দেশনা ও লোক নাট্যদলের পরিবেশেনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক রথযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবেশনের পর বাঙালি সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথের অবদান শীর্ষক কথিকা পাঠ করেন কৃষ্টি হেফাজ। সমবেত কণ্ঠে জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত আকাশ ভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ, তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি মোর স্থান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৫৯তম রবীন্দ্র জয়ন্তীর এ বিশেষ অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ টেলিভিশন।
##



 

Show all comments
  • মতামত ৯ মে, ২০২০, ১২:০০ এএম says : 0
    যারা বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারে তাদের Nobel Prize দেয়া হয়.
    Total Reply(0) Reply
  • মতামত ৯ মে, ২০২০, ১২:০৬ এএম says : 0
    যারা বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করছে তাদের Nobel Prize দেয়া হয়. আমরা বলি Evil Prize.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ