Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা মোকাবেলা নয়, গণমাধ্যম দমনই সরকারের প্রধান এজেন্ডা-আ স ম আবদুর রব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২০, ৩:৫৫ পিএম

সাংবাদিক, লেখক ও কার্টুনিষ্ট গ্রেফতার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ হচ্ছে কেবলমাত্র গণমাধ্যমের কন্ঠরোধের জন্য। অযৌক্তিক তুচ্ছ কারণে সাংবাদিক লেখক ও শিল্পী গ্রেফতারে সরকার বেশি উৎসাহী। বিদ্যমান করোনা সংকট মোকাবেলা এখন গৌন হয়ে গেছে। সরকারের অস্তিত্ব রক্ষা মূল কাজে পরিনত হয়েছ। করোনা ভাইরাস মোকাবেলার চেয়েও গণমাধ্যম দমন প্রাধান্য পাচ্ছে। এটাই এখন সরকারের প্রধান এজেন্ডা।
ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার অভিযোগে সাংবাদিক গ্রেফতারের পূর্বে সরকার একটু বিবেকের আশ্রয় নিলে বুঝতে পারতো মধ্যরাতের নির্বাচন আর অপশাসনে সরকারের ভাবমূর্তি উধাও হয়ে গেছে অনেক আগেই। সরকারের উপর জনগণের কোন সম্মতি বা সমর্থন নাই। সরকার প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করেনা। সুতরাং সরকার বৈধতার সংকট পাড়ি দিতে গণমাধ্যমের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম নেয়া রাষ্ট্রকে গনবিরোধী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সরকারের পাপ অনেক বেড়ে গেছে। সুতরাং সরকারকেই এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
তিনি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক লেখক কার্টুনিষ্টের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।



 

Show all comments
  • saadman ৮ মে, ২০২০, ৩:৫৯ পিএম says : 0
    100% right. This government has only 12% (10% Hindu +2% Muslim) voter.
    Total Reply(0) Reply
  • Aminur rahman ৮ মে, ২০২০, ৪:০১ পিএম says : 0
    A beauty is truth, truth is religion.
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৮ মে, ২০২০, ১০:০১ পিএম says : 0
    আমার দুঃখ লাগে আমি যখনই এই নেতার (আ স ম আব্দুর রব) উত্থান ও পতনের ইতিহাস দেখি। ’৬৯ এর আন্দলোনে তিনি চার কুতুবের এক কুতুব ছিলেন মানে তিনি তখন ছিলেন তুঙ্গে, কিন্তু তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্যে তিনি ছিটকে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হন এটাই মহা সত্য। দেশ স্বাধীন হবার সাথে সাথে দেশের বিরোধী দলের জন্ম নেয় জাসদ নামে তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলীল যিনি শেষ জীবনে জামাতের নেতা হিসাবেই (পাকিদের দালাল) মৃত্যু বরং করেছিলেন। সেই দলেরই ছিলেন এই রব সাহেব তারপরও তিনি দেশের সকল দল যখন এরশাদ মিয়ার নির্বাচন বয়কট করে তখন তিনি এরশাদ মিয়ার সাথে হাত মিলিয়ে নির্বাচন করে বিরোধী দলের নেতা হলেন। বিরোধী দলের নেতা হয়ে তিনি কি করলেন জন্ম দিলেন সরকারীদলের পাচাটা বিরোধী দলের। এরপর ওনারই কায়দায় বিএনপি দলকে সমর্থন দিয়ে ফ্রিডম পার্টি বিরোধী দল হয় আর এখন একই পদ্ধতীতে জাপা করছে আওয়ামী লীগের পাচাটা বিরোধী দলের কাজ। এই অপরাজনীতির জন্মদাতা হচ্ছেন আপনি আ স ম আব্দুর রব সাহেব। আপনি এরশাদের পাচাটা বিরোধীদলের নেতা হবার পরও নেত্রী হাসিনা ’৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করে তখন আপনার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের আদর্শ বাস্তবায়িত করার লক্ষে এবং আপনার দলকে (নেত্রী ভাবতেন মুক্তিযুদ্ধের সমর্থিত দল) মজবুত করার জন্যে আপনাকে ওনার কেবিনেটের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি জাতীকে কি দিয়েছিলেন বা আপনার দলকেই বা কতটা মজবুত করতে পেরেছিলেন??? আপনি যাদেরকে মজবুত করেছিলেন তারাই আপনার দল ছেড়ে বরং আপনার লোকজনদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়ে আপনাকে নিঃস্ব করে চলেগেছে তাই না??? কাজেই আমার পরামর্শ আপনি নিজে আগে যোগ্যতা অর্জন করুন তারপর ভাল ভাল কথা বলুন আমরা সবাই আপনার উপদেশ মানবো। নয়ত একজন পরাজিত অযোগ্য লোকের প্রলাপ ভেবে সবাই আপনার কথা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ করবে। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সত্য জানার, বুঝার ও সেইভাবে চলার যোগ্যতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ