পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিটি কর্পোরেশন তফসিলে প্রণীত আইন লঙ্ঘন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) পদোন্নতি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দেয়ার হিড়িক চলছে। ৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রথম শ্রেণির উপ-কর কর্মকর্তা (ডিটিও) পদে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সিনিয়র ও যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মচারীদের পাশ কাটিয়ে ওই পদের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্তে¡ও এ দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বর্তমান মেয়রের শেষ সময় এসে তড়িঘড়ি করে ডিএসসিসিতে উপ-কর কর্মকর্তা পদে ৩১ জন ও কর কর্মকর্তা পদে ৭ জনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে এ দায়িত্ব বন্টনে ডিএসসিসি’র জন্য প্রণীত তফসিল অনুসরণ করা হয়নি। ডিএসসিসির জন্য সর্বশেষ প্রণীত তফসিল- ২০১৯ অনুযায়ী কোন পদে কাউকে অতিরিক্ত বা চলতি দায়িত্ব প্রদান করতে হলে ওই পদের একধাপ নিচের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। এবং এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওই পদের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। এ আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে উপ কর কর্মকর্তা (ডিটিও) পদের জন্য বিএ পাশ নির্ধারিত থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ কর্মচারীদের উক্ত পদে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত দুই গ্রেড নিচু পদের কর্মাচারীকে অতিরিক্ত দায়িত্বের নামে সাময়িক পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
বঞ্চিত ও সংক্ষুব্ধরা এই আদেশ বাতিলের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে মেয়র বরাবর দরখাস্ত দেয়াসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে জানা গেছে। এটাতে পদোন্নতি বলার কারণ হিসেবে সংক্ষুব্ধরা বলছেন, ডিএসসিসিতে সিনিয়র ও অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন অসংখ্য কর্মচারী দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় নিয়মিত পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। তাই বিগত দিনে যাদের অতিরিক্ত দয়িত্ব নামে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে; তাদের ওই পদ থেকে কখনো অপসারণ করা হয়নি। উপরন্তু একই ব্যক্তি ৩ বা ততোধিক উচ্চ পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকার নজিরও রয়েছে সংস্থাটিতে। এছাড়া এসব বয়সে সিনিয়র ও দক্ষ কর্মীদের বাদ দিয়ে জুনিয়র ও দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের তড়িঘড়ি করে গোপনে আদেশ জারির অপেক্ষাকে কতৃপক্ষের প্রহসন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অনেকে। এ আদেশের চিঠি দ্রæত প্রণয়ন করতে সংস্থাপনের কর্মকর্তাদের চাপ প্রয়োগ করছেন একটি চক্র।
পদোন্নতির তালিকায় প্রথমে থাকা মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংস্থাপন শাখার সহ-সচিবকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। উপ-কর কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে যোগ্য মনে করেন কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি সরাসরি বলেন, না আমি তা মনে করি না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজস্ব বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, বিশাল অঙ্কের ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে ৭ জনকে কর কর্মকর্তা ও উপ-কর কর্মকর্তা পদে ৩১ জনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। উৎকোচ নিয়ে এসব দায়িত্ব দেয়ার পাশাপাশি কিছুদিন পর এসব পদই তাদের মূল পদ করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন এ চক্রের মূলহোতা রাজস্ব বিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
ডিএসসিসি’র অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি যদিও আমার এখতিয়ারভুক্ত নয়, তবে আমি শুনেছি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এ দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। এতে ডিএসসিসি’র চাকরি বিধিমালা, তফসিল কিংবা আইন কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করা হয়নি। এমনকি সাচিবিক দপ্তরকে পাশ কাটিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা যে কাজ করেছেন তা শুধু বেঅইনিই নয় অন্যায়ও। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।