পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম চালানোর জন্য আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০ খসড়া চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে প্রেসিডেন্টর অনুমতি পেলেই তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিচার কাজ চালানোর উদ্যোগ নিতে পারবে আদালতগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোরুারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। করোনাভাইরাপসের কারণে টানা এক মাস পর সীমিত পরিসরে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে মাসাধিককাল ধরে কতিপয় ব্যতিক্রম ব্যতীত আদালতসহ সরকারি, বেসরকারি সকল ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা জট যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বিচার প্রার্থীরা বিচার প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম করার আইনি বিধান প্রণয়ন করা প্রয়োজন। সেজন্য ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০ শীর্ষক একটি অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে মর্মে আশা করা যায়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এছাড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া আরও দুটি আইন ও অধ্যাদেশ হলো- মূল্যসংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) আইন-২০২০ এবং ইনকাম ট্যাক্স (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০। সীমিত পরিসরের মন্ত্রিসভা বৈঠকে উল্লিখিত তিনটি আইনি ও অধ্যাদেশের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কিছু কিছু জায়গায় সরকার ওপেন করে দিয়েছে। সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন এজেন্সিকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে, পাশাপাশি জনগণকে সহযোগিতার আহŸান জানানো হয়েছে। কারণ এটা প্যানডামিক, সুতরাং কমিউনিটি সাইটকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। জনসাধারণ যদি সসম্পৃক্ত না হন, কোঅপারেশন না করে তাহলে এটি নিয়ন্ত্রণ দুষ্কর হবে। সেজন্য মন্ত্রিসভা থেকে সর্বসাধারণের কাছে আহŸান জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তো স্ট্রিক ভিউতে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ আশা করে জনসাধারণও সতর্কতা অবলম্বন করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।