যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়াই সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে লড়াই করছে বলে অভিযোগ করেছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবাপ্রদান করতে গিয়ে ইতোমধ্যে ৬০০ চিকিৎসকসহ সহস্রাধিক স্বাস্থ্যকর্মী ভাইরাসটির সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিকিৎসক আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে আছেন।

সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিবর্তনমূলক, অসম্মানজনক, বৈষম্যমূলক, বিমাতাসূলভ, পরিপত্র জারি করেছে অভিযোগ করেছেন ড্যাবের সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব প্রফেসর ডা. মো. আব্দুস সালাম। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ চিকিৎসকদের জন্য প্রেরিত নকল ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ না করায় এবং প্রকৃত সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করার দাবি জানানোর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তারা বলেন, গত ৩ মে বিএসএমএমইউসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ প্রেষণে থাকা চিকিৎসকদের প্রেষণ স্থগিত করে পদায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অথচ তারা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠনের উচ্চশিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। এমনকি করোনা ইউনিটের বিধি মোতাবেক নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন। এখন তাদের প্রেষণ স্থগিত করে অন্যত্র পদায়ন করা হলে তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হবে এবং চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে।

ড্যাব নেতৃবন্দ বলেন, সরকারের একনায়ক মানসিকতায় এককভাবে দলীয় বিবেচনায় মহামারী মোকাবিলার চেষ্টা করেছে। ফলশ্রæতিতে শুরু থেকেই সমন্বয়হীন বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত ব্যাক্তিদের স্ক্রিনিং করার সামর্থ্য সরকারের ছিলোনা, এমনকি তাদেরকে যথাযথভাবে আইসোলেশন বা কোয়ারান্টাইনে রাখতেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে যার ফলে ভাইরাস সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ড্যাব সভাপতি ও মহাসচিব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে এ যাবত জারিকৃত হঠকারী পরিপত্র প্রত্যাহারের আহŸান জানান।