পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই। অভিযোগ উঠছে ভুলভাল রিপোর্টে এমনিতেই করোনার ভয়াবহ বিপদ, তারপর অনেকক্ষেত্রে আতঙ্কের জন্ম দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন ও গুঞ্জন চলছে যশোর ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমের ৭ জেলায়। স্থানীয় প্রশাসন থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দৈনিক ইনকিলাবকে জানিয়েছে। আজ স্বাস্থ্য সচিব যশোরে আসছেন। তার কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হবে জানা গেছে।
যশোর সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্র জানায়, যবিপ্রবির ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৯৩ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪১৩ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৬৮ জনের। খুলনা ল্যাবে ৪৮৩ জনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৩৮৯ জনের। যার মধ্যে মাত্র ৩জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। যশোরের বিভিন্ন মহলে যবিপ্রবির করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে কারণ কী এ ব্যাপারে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি তো বিশেষজ্ঞ নই। তবে যবিপ্রবি’র রিপোর্টের সাথে আইইডিসিআরের রিপোর্টে ভিন্নতা বা ব্যবধান হওয়ায় সঙ্গত কারণেই প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
তিনি বললেন, আমরা প্রতিটি রিপোর্ট এখন আইইডিসিআরে পাঠিয়ে কোয়ালিটি চেক করছি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা রিপোর্ট মোট ৩২টি আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ২২টির রিপোর্ট পেয়েছি। যার ২১টিই নেগেটিভ। তার কথা, ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠার কারণে আইইডিসিআর থেকে বিশেষজ্ঞ টিম যবিপ্রবির ল্যাব পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মূলত স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি দেখছে। তবে হ্যা, প্রশ্ন দেখা দেয়ার বিষয়টি অনুভব করছি। আমরা মিনিমাইজ করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারটি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। তাদের টিমও এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য সচিব আব্দুস সালামের উপস্থিতিতেও যবিপ্রবির করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
যবিপ্রবির পরীক্ষায় যশোরের দৈনিক লোকসমাজের সিনিয়র সাংবাদিক মো. সিদ্দিক হোসেনের পজেটিভ রিপোর্ট আসে গত ২৮এপ্রিল। পুনরায় তার নমুনা পাঠানো হয় ঢাকা আইইডিসিআরে। ৫মে তার রিপোর্ট পাওয়া যায় নেগেটিভ। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ওই সাংবাদিকের অভিব্যক্তি ভুল রিপোর্টের কারণে আমি ইতোমধ্যেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে। আমার গ্রামের বাড়ির লোকজনেরও ত্রস্ত করে তোলা হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন এই প্রশ্নের জবাবে যবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বললেন, যবিপ্রবিতে এক্সপার্ট দিয়ে যথাযথভাবে পরীক্ষা করানো হয়। প্রশ্ন নমুনা সংগ্রহ নিয়ে। সংগ্রহে ত্রæটির কারণে রিপোর্ট ভুল হতে পারে। তিনি বললেন, আমার কাছে যে খবর আছে তাতে ভিডিও দেখিয়ে টেকনিশিয়ানদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এটি প্রাকটিক্যাল হয় না। তার কথা, ক্রসচেকে উল্টাপাল্টা হতে পারে। কারণ ভাইরাসের মেয়াদের একটা ব্যাপার থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।