পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যবসায়ীসহ সব ধরনের মানুষের জন্য প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। দ্রুত সময়ে ও সঠিকভাবে প্যাকেজ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ঘোষিত প্যাকেজ নিয়ে সঠিকভাবে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণ এবং বাস্তবায়নে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা নিরসনে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইওদের সঙ্গে বৈঠক করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৃহষ্পতিবার (৭ মে) অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ব্যাংকসহ সব রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডিরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত একাধিক ব্যাংকের এমডি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এমডি এবং সিইওদের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক গাইডলাইনও প্রকাশ করেছে। কিন্তু বাস্তবায়নে এখনো শুরু করা সম্ভব হয়নি। এটা যেনো সঠিকভাবে যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন তথা প্যাকেজের ঋণে বিতরণ শুরু করা যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, এমনিতেই গত দেড়-দুই মাসে করোনার কারনে দেশের ব্যাংকিং খাত অনেক লস করেছে। এ পরিস্থিতিতে এ ধরনের প্যাকেজ বাস্তবায়ন ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও এ সংকটকালে এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেই আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি এ প্যাকেজের অর্থ কোনোভাবেই যাতে মিস ইউজ না হয় সে বিষয়েও কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্যাকেজের অর্থ শুধু সোনালী কিংবা রূপালি ব্যাংক নয় বরং সব ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেছেন তিনি। সব ব্যাংকের মাধ্যমে যদি ঋণ বিতরণ করা হয় তাহেল চাপ কিছু কমবে। এছাড়া প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদেরই এ প্যাকেজের অর্থ দেয়ার জন্যও বলেছেন তিনি। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব গাইড লাইন দিয়েছে সেসব ফলো করতে বলেন সিনিয়র সচিব।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আতাউর রহমান প্রধান বলেন, বৈঠকে মুলত সঠিকভাবে প্যাকেজ বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ প্যাকেজ বাস্তবায়নে যদি ব্যাংকগুলো কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে তাহলে সেগুলোর সমাধানেরও আশ্বাস দেয়া হয়েছে। একই ধরণের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।