পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফলের রাজা আমের মানচিত্র বড় হচ্ছে। রসালো সুমিষ্ট হরেক ফলচাষে এসেছে পরিবর্তনের হাওয়া। আম ছাড়াও লিচু, কাঁঠাল, পেঁপে, কলা, কমলা, মাল্টা, আনারস, জাম, জামরুল, পেয়ারা, আমলকি, লটকন, আমড়া, বরই বা কুল, জলপাই, আতা এমনকি মরুর দেশের খেজুর, থাই-মালয়েশিয়ার ড্রাগনফলসহ দেশি-বিদেশি জাতের ফলের সমাহার। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. নাছির উদ্দীন গতকাল ইনকিলাবকে জানান, গেল ২০১৮-১৯ সালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৫টি জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরে ৬৩ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে ফলের চাষ হয়। উৎপাদিত হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৬ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের ফল। পার্বত্য রাঙ্গামাটি অঞ্চলের উপ-পরিচালক নাসিম হায়দার জানান, ২০১৮-১৯ সালে তিন জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ৯৮ হাজার ২৮৫ হেক্টর বাগানে উৎপাদিত হয় ১৭ লাখ ৬০ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টন আমসহ হরেক ফল-ফলাদি।
কৃষি বিভাগ আশাবাদী, এবার বৃষ্টির ভারসাম্য ও ভালো আবহাওয়ায় ফলের বাম্পার ফলনই হবে। কয়েক জাতের আমসহ অর্ধশত রকমারি ফল আসছে বাজারে মধুমাস জ্যৈষ্ঠে। রসনা তৃপ্ত করবে রোজাদারদের। কৃষি মাঠকর্মী ও চাষিদের কথা, ফলদ বাগ-বাগিচায় উৎপাদন খরচ, ঝুঁকি ও মেহনত ধানের তুলনায় কম। টাকাও হাতে আসে সারাবছর। চট্টগ্রাম শহরতলীর পতেঙ্গা, ভাটিয়ারী, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুন্ড, ফটিকছড়ি, মীরসরাইসহ তিন পাহাড়ি জেলায় উঁচুনিচু উর্বর জমিতে উৎকৃষ্ট প্রজাতির আম, লিচু, কলা, ড্রাগনফল, কমলা, মাল্টা চাষে ঘটছে নীরব বিপ্লব।
গত তিন-চার বছরে চট্টগ্রাম এবং তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়-টিলার ভাঁজে ভাঁজে গড়ে ওঠা বাগানে বাগানে আম্রপালি, বারি-৪, বারি-১১, হিমসাগর, ল্যাংরা, রংপুরের হাঁড়িভাঙা এমনকি থাইল্যান্ডের উৎকৃষ্ট ও সুমিষ্ট জাতের আমের আবাদ বিস্তৃত হয়েছে। সুমিষ্ট আমের আস্বাদ গ্রহণ আর পাহাড়ে বেড়াতে কয়েক বছর যাবৎ ‘ম্যাংগো ট্যুরে’ আসছেন রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাবাসী। চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনপদে বাগানগুলোতে সযত্মে পরিচর্যায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত ড্রাগনফল ঢাকা, চট্টগ্রাম নগরীতে বাজারজাত হচ্ছে।
কৃষিবিদগণ জানান, কৃষি প্রযুক্তি কৌশল কাজে লাগিয়ে আমের আঁটি ছোট, টক রোধ করে সুমিষ্টতা আনা, শাঁস উন্নতকরণ, পোকায় না ধরা, আকার-ওজনে বড় ইত্যাদি সমস্যা ইতোমধ্যেই অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।