পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোজার মাসে ধীরে ধীরে সকল প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। রোজার মাস বলে অনেক কিছু খুলে দেয়া হয়েছে। ঈদের আগে মানুষ কেনাকাটা শুরু করতে পারবেন সে ব্যবস্থা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে যাদের আয়-রোজগার নেই, ঈদের আগে তাদেরকে কিছু নগদ টাকা দেওয়া হবে।
গতকাল চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রংপুর বিভাগের আট জেলার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এবং সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষকে সুরক্ষিত করে অর্থনীতির চাকা সচল করা হবে। ব্যবস্থা সচল রাখতে ১ লাখ কোটি টাকা প্যাকেজ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ১৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হবে। সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে সকলকে। কিন্তু সবকিছু যেহেতু রমজান মাস। এ রমজানে মাসে যাতে কেনাবেচা চলতে পারে। তার জন্য দোকান-পাঠ খোলা বা যেহেতু রোজার সময়, ঈদের কেনা বা সেহরি খাওয়া বা রোজার মাসে বাজারহাট করা, সেগুলো যাতে চলতে পারে, সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি রেখে সেগুলোর খোলারও মানে চালু রাখারও নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতে যাদের আয়-রোজগার নেই, ঈদের আগে তাদেরকে কিছু নগদ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারি অফিস আদালত সব সীমিত আকারে আমরা চালু করে দিচ্ছি। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৫০ লাখ রেশন কার্ড চালু রয়েছে। এই কার্ড দেখিয়ে তারা ১০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পারছে। আরো ৫০ লাখ কার্ড আমরা করছি। ইতিমধ্যে তালিকাও হয়ে গেছে। এ ছাড়া আমাদের ব্যবসাবাণিজ্য সচল রাখতে ব্যবসায়ীদের ঋণের বিপরীতে সুদ স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের সচেতন থেকে কাজ করতে হবে। কৃষি আমাদের বড় সম্পদ। কোন ভাবেই দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। সে জন্য ধান কাটার পরপর জমিতে নতুন ফসল লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, রংপুর এলাকায় এখন আর মঙ্গা নাই। যাতে নতুন করে মঙ্গা দেখা না দেয় সে জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশে খাদ্যের কোন অভাব নেই। অভাব থাকবে না। পণ্য পরিবহনের জন্য রেল সেবা চালু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ১০ লাখ মেট্রিকটনে খাদ্যশস্য আমরা সংগ্রহ করব। যাতে বাংলাদেশে আর খাদ্যশস্যের অভাব না হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কুড়িগ্রাম ছিল কুঁঁড়েগ্রাম। আমরা বলতাম কুঁড়েগ্রাম, চাইতেও জানে না। না রাস্তাঘাট, না কিছু। নদীতে পার হয়ে হয়ে যেতে হয়েছে। এখন তো ছয় ঘণ্টার মধ্যে চলে আসতে পারে, এ রকম ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। মঙ্গা যেন আবার ফেরত না আসে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।