পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা বাস্তবতায় ভার্চ্যুয়াল আদালত চালুর প্রস্তুতি চলছে। দেশের বিচার বিভাগে উন্মোচিত হতে চলেছে এক নতুন দিগন্ত। মেধাবী প্রজন্ম আর আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সমন্বয়ে নতুন দুনিয়ায় পা দিতে চলেছে বিচার বিভাগ। এটি দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে অভুত। এর মাধ্যমে বিদ্যমান পরিস্থিতির আপাতত অবসানের পথ খোলা হলেও সুফল সুদূরপ্রসারী। আসছে নতুন ব্যবস্থায় উচ্ছ্বসিত প্রযুক্তিমুখি তরুণ আইনজীবীরাও।
সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্র্রার জেনারেল দফতর সূত্র জানায়, গত ২৬ এপ্রিল ফুলকোর্ট সভায় ভার্চ্যুয়াল আদালত চালুর সিদ্ধান্ত হয়। সেই আলোকেই চলছে ভার্চ্যুয়াল আদালতের প্রশিক্ষণ পর্ব। প্রথম দফায় ৪০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জেলা আদালতের বিচারক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট, সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারি, আইনজীবীরা রয়েছেন প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে। প্রশিক্ষণ চলছে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। প্রশিক্ষণটি অল্প সময়ে গ্রহণ সম্ভব বিধায় পর্যায়ক্রমে দ্রুতই সারা দেশের আদালতে ভার্চ্যুয়াল আদালত চালুর বিষয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র মতে, করোনা প্রকোপে গত ২৪ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ৫ বারের মতো বাড়ানো হয়েছে আদালতের ছুটিও। এমন অভুত পরিস্থিতিতে অন্যান্য বিষয়ের মতোই থমকে আছে দেশের বিচার ব্যবস্থা।
আইনজীবী সংগঠন এবং বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সীমিত পরিসরে আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু করোনা রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বাস্তব অবস্থা না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়ে এ সিদ্ধান্ত। অনেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে না পারলে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই আদালত চালু না করার অনুরোধ জানান।
এ পেক্ষাপটে গত ২৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ ‘সীমিত পরিসরে’ আদালত চালুর সিদ্ধান্ত আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। সিদ্ধান্ত হয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট স্থাপনের। সেই সিদ্ধান্তের আলোকেই বিচারক, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের দেয়া হচ্ছে সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ।
অন্যদিকে ভার্চ্যুয়াল আদালত স্থাপনের জন্য গঠিত ‘হাইকোর্ট রুলস সংশোধন কমিটি’ও কাজ করছে। প্রেসিডেন্টের কাছে অর্ডিন্যান্স জারির আবেদন জানানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট সূত্র। এতে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে কীভাবে শুনানি হবে, কে কে থাকবেন, প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। অর্ডিন্যান্সটি জারি হলেই চালু করা যাবে ভার্চ্যুয়াল আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।