Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষতিগ্রস্ত ১২ লাখ দুগ্ধ খামারির পাশে দাঁড়িয়েছে রূপালী ব্যাংক

দুধ সংরক্ষণে পাবেন সহজ ঋণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২০, ৬:১৮ পিএম

বাংলাদেশে বর্তমানে ১২ লাখ দুগ্ধ খামারের সঙ্গে ১ কোটি মানুষ জড়িত। বছরে এসব খামারে প্রায় ১ কোটি মেট্রিক টন দুধ উৎপাদিত হয়। এসব দুধের একটা বড় অংশ যায় দুধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বাকি অংশ যায় মিষ্টির দোকান ও হোটেল-রেস্তোরায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সারাদেশ লকডাউন থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন দুগ্ধ খামারিরা। সারাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুধের চাহিদা একেবারেই নেই। তাই অধিকাংশ খামারিই তাদের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে পারছেন না। ফেলে দিতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকার দুধ। সেই সঙ্গে গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিনই লোকসান গুণতে হচ্ছে খামারিদের।

এই অবস্থায় দুগ্ধ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে খামারিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের নির্দেশনায় দুগ্ধ খামারিদের মাঝে দুধ থেকে ঘি বানানোর জন্য ঋণ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রূপালী ব্যাংক। সহজ শর্তের ও স্বল্প সুদের এই ঋণ গ্রহণ করে দুগ্ধ খামারিরা উৎপাদিত দুধ থেকে ঘি বানিয়ে সংরক্ষণ করতে পারবে। যার ফলে তাদেরকে আর দুধ ফেলে দিতে হবে না।

এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, করোনা মহামারীতে যখন দেশের দুগ্ধ শিল্প বন্ধ প্রায়, আমাদের প্রান্তিক গোয়ালারা যখন অসহায়, তখন আমরাই এগ্রো খাতে দুধ থেকে ঘি বানানোর জন্য ঋণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, করোনায় সারাদেশ যখন লকডাউন হয়ে গেল, তখন আমরা দেখলাম দেশের প্রায় ১২ লাখ দুগ্ধ খামারি তাদের উৎপাদিত দুধ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। দুধ বিক্রি করতে না পারায় তারা সেগুলো ফেলে দিচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দুগ্ধ উৎপাদনে সয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি। গত ১০ বছরে দেশে দুধ উৎপাদন বেড়েছে সোয়া চার গুণ। এই পরিস্থিতিতে এই খাতের হাল যদি কেউ না ধরে তাহলে আমরা আবার পিছিয়ে যাবো। এসডিজি অর্জনের জন্য সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবেÑ সেখান থেকে আমরা পিছিয়ে পড়বো। তাই আমরা দুধ থেকে ঘি বানিয়ে সংরক্ষণের জন্য ঋণ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। খামারিরা রূপালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দুধ থেকে ঘি বানিয়ে সংরক্ষণ করলে তাদেরকে আর দুধ ফেলে দিতে হবে না। পাশাপাশি দেশের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হবে। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ আশা প্রকাশ করেছেন, রূপালী ব্যাংকের দেখাদেখি অন্য ব্যাংকগুলোও দুগ্ধ খামারিদের পাশে এগিয়ে আসবে।

এই ঋণ গ্রহণে আগ্রহী খামারিদেরকে রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কৃষি, পল্লী ঋণ ও মাইক্রো ক্রেডিট বিভাগে (ফোন ৯৫৮৯৩৫৭) বা নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করতে বলেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ