প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন থাকা খুবই দু:খজনক ব্যাপার। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে, উনি যেন ইসলামের বিধানসূমহ পরিপূর্ণভাবে পালন করে। আর যেভাবেই হোক ফরয রোযা রেখে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। এখানে স্বামীর মনে রোযার গুরুত্ব ও আল্লাহর হুকুমের মাহাত্ম্যের অভাব থেকে থাকবে। কারণ প্রবল ক্ষুধা, পিপাসা ও যৌনকাক্সক্ষা থাকা সত্বেও দিনের বেলা পানাহার ও বৈধ দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকার নামই রোযা। যতো আগ্রহই হোক অতি সুর্কতার সাথে রোযাদারকে এসব আচরণ থেকে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকতেই হবে। প্রশ্ন ওঠে স্বামী নিজে রোযাদার কিনা? রোযাদার না হলে সে স্ত্রীর রোযার মূল্য বুঝবে না। নিজে রোযাদার হলেও স্ত্রীর রোযার মর্যাদা সে স্বামী দিতে পারছে না। ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর যৌনাকাক্সক্ষা স্বীকৃত এবং পরস্পরের চাহিদা ও অধিকার প্রদানে শরিয়ত পূর্ণসচেতন। যেমন স্বামীর অমতে স্ত্রী নফল রোযা রাখতে পারে না। স্বামী চাইলে নফল রোযা ভেঙ্গেও নিজেদের চাহিদা পুরণ করতে হয়। আবার স্ত্রী চাইলে স্বামী নফল রোযা ও সারা রাত জেগে নফল ইবাদৎ এক পর্যায়ে ছেড়ে হলেও স্ত্রীর অধিকার পূরণ করতে হয়। যার শিক্ষা ও প্রেরণা ইসলামে রয়েছে। তবে এসবই নফল রোযার বেলা। রমজানের ফরজ রোযার ক্ষেত্রে এসবের কোনো মূল্য নেই। এখানে আল্লাহর হুকুমই সর্বোচ্চ। কোনো ক্রমেই যৌনাকাক্সক্ষার জন্য রোযা ছাড়া যাবে না। যে বিষয়টি প্রশ্নে পাওয়া গিয়েছে। এ কথা স্পষ্ট যে, বর্ণিত প্রশ্নে রোযাদার স্বামীকে নিজ রোযা ভাঙ্গার জন্য অবশ্যই কাফফারা করতে হবে। অর্থাৎ একাধারে ৬০ রোযা রাখতে হবে। তবে পূর্ণ অমত, অনিচ্ছা, অসহযোগিণা অবস্থায় গায়ের জোরে যে রোযাদার স্ত্রীকে স্বামী কর্তৃক দেহ মিলনে বাধ্য করা হয়েছে তার কেবল কাযা করলেই চলবে। কাফফারা করতে হবে না। এটি সে ব্যক্তির মতো যাকে তার ইচ্ছার বাইরে জোর করে কেউ কিছু খাইয়ে বা পান করিয়ে তার রোযা ভেঙ্গে দিল। এমন ব্যক্তির শুধু কাযাস্বরূপ একটি রোযা রাখলেই চলবে। নিজের ইচ্ছায় ফরয রোযা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তির মতো কাফফারা করতে হবে না।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।