Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমার স্বামী ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন। আমি সবগুলো রোজা রাখতে চেষ্টা করি। কিন্তু সে অনেক সময় রোজা ছেড়ে দেয় এবং প্রায়ই রোযা অবস্থায় আমার সঙ্গে যৌন আচরণে আগ্রহ প্রকাশ করেন। দু’এক বার আমার অমতে জোর করে তার সঙ্গে মিলিত হতে বাধ্য করেছেন। এমতাবস্থায় আমার রোযার কি বিধান? এর ফলে রোযা ভেঙ্গে গেলে কাফফারা বা করণীয় কী?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২০, ৫:৪১ পিএম

উত্তর : ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন থাকা খুবই দু:খজনক ব্যাপার। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে, উনি যেন ইসলামের বিধানসূমহ পরিপূর্ণভাবে পালন করে। আর যেভাবেই হোক ফরয রোযা রেখে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। এখানে স্বামীর মনে রোযার গুরুত্ব ও আল্লাহর হুকুমের মাহাত্ম্যের অভাব থেকে থাকবে। কারণ প্রবল ক্ষুধা, পিপাসা ও যৌনকাক্সক্ষা থাকা সত্বেও দিনের বেলা পানাহার ও বৈধ দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকার নামই রোযা। যতো আগ্রহই হোক অতি সুর্কতার সাথে রোযাদারকে এসব আচরণ থেকে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকতেই হবে। প্রশ্ন ওঠে স্বামী নিজে রোযাদার কিনা? রোযাদার না হলে সে স্ত্রীর রোযার মূল্য বুঝবে না। নিজে রোযাদার হলেও স্ত্রীর রোযার মর্যাদা সে স্বামী দিতে পারছে না। ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর যৌনাকাক্সক্ষা স্বীকৃত এবং পরস্পরের চাহিদা ও অধিকার প্রদানে শরিয়ত পূর্ণসচেতন। যেমন স্বামীর অমতে স্ত্রী নফল রোযা রাখতে পারে না। স্বামী চাইলে নফল রোযা ভেঙ্গেও নিজেদের চাহিদা পুরণ করতে হয়। আবার স্ত্রী চাইলে স্বামী নফল রোযা ও সারা রাত জেগে নফল ইবাদৎ এক পর্যায়ে ছেড়ে হলেও স্ত্রীর অধিকার পূরণ করতে হয়। যার শিক্ষা ও প্রেরণা ইসলামে রয়েছে। তবে এসবই নফল রোযার বেলা। রমজানের ফরজ রোযার ক্ষেত্রে এসবের কোনো মূল্য নেই। এখানে আল্লাহর হুকুমই সর্বোচ্চ। কোনো ক্রমেই যৌনাকাক্সক্ষার জন্য রোযা ছাড়া যাবে না। যে বিষয়টি প্রশ্নে পাওয়া গিয়েছে। এ কথা স্পষ্ট যে, বর্ণিত প্রশ্নে রোযাদার স্বামীকে নিজ রোযা ভাঙ্গার জন্য অবশ্যই কাফফারা করতে হবে। অর্থাৎ একাধারে ৬০ রোযা রাখতে হবে। তবে পূর্ণ অমত, অনিচ্ছা, অসহযোগিণা অবস্থায় গায়ের জোরে যে রোযাদার স্ত্রীকে স্বামী কর্তৃক দেহ মিলনে বাধ্য করা হয়েছে তার কেবল কাযা করলেই চলবে। কাফফারা করতে হবে না। এটি সে ব্যক্তির মতো যাকে তার ইচ্ছার বাইরে জোর করে কেউ কিছু খাইয়ে বা পান করিয়ে তার রোযা ভেঙ্গে দিল। এমন ব্যক্তির শুধু কাযাস্বরূপ একটি রোযা রাখলেই চলবে। নিজের ইচ্ছায় ফরয রোযা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তির মতো কাফফারা করতে হবে না। 

উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

 

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

Show all comments
  • আব্দুল্লাহ ৪ মে, ২০২০, ৮:৪৮ পিএম says : 1
    হযরত আমি দূর থেকে আপনার একজন ভক্ত।আমি দীর্ঘদিন যাবৎ যাদু টুনায় ভোগছি।এবং আমার বাবাও এই কারণে ব্রেন আউট হয়ে মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়েন।আমিও নিজের ক্ষেত্রে যাদুর তীব্রতা র কারণে সেই আশংকা করছি। বারংবার একি ভাবে আক্রান্ত হচ্ছি।এখন আমি অপারগ হয়ে ধারণা করছিযে, যদি যাদু তার দিকে ফিরিয়ে দেই তাহলে হয়তো সে আক্রান্ত হলে আমার উপর প্রয়োগ করা ছেড়ে দিতে পারে।আপনার পরামর্শ কামনা করছি।বলা বাহুল্য যে,এতো বেশি আক্রান্ত হচ্ছি বলার ভাষা পাচ্ছিনা।প্রাণ নাশের আশংকা করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • M H ২৩ মে, ২০২০, ৯:৩৩ পিএম says : 0
    ফুরফুরার হুজুরদের সাথে যোগাযোগ করুন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ