Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুয়াকাটায় শ্রমিকদের মানবেতর জীবন

করোনার প্রভাব ট্যুরিজম শিল্পে

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২০, ১২:০৫ এএম

প্রাণঘাতী করোনায় পর্যটন নগরী সাগর কন্যা কুয়াকাটায় ট্যুরিজম শিল্পের কয়েক হাজার শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কর্মহীন হয়ে আছে কয়েক হাজার হোটেল মোটেলে, রেস্তরা, ট্যুরিস্ট বোট, ওয়াটার বাস, পার্ক, মার্কেটের দোকানির স্টাফ, বিচ বাইক, মটরসাইকেল, ক্যামেরাম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক এখন কর্মহীন হয়ে দিনাতিপাত করছেন। হতাশ হয়ে পড়ছে এসবের পরিবারগুলো। বুক ভরা আর্তনাদ চলছে যার কান্না কেউ দেখছে না। খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় তার জন্য দিন দিন কর্মহীনের কারণে মহামারীর বিপদ কাটানোর দিকে চেয়ে আছেন। শত অভাবে তাড়ো না করলেও লজ্জায় মুখ খুলতে পারছে না। কারো কাছে হাত পাত্তে পারে না এরা। ত্রাণের খাতায়ও নাম উঠছে না। সরকারিভাবে কোন সহযোগীতা এখন পর্যন্ত না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজম্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন (কুটুম)‘র নেতৃবৃন্দ। খোজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ শুরুতেই ১০ দিন আগে হোটেল মোটেল এবং ওয়াটার বাসসহ ট্যুরিস্ট বোটগুলো বন্ধ করে দেয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক। এর পড়ে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় বার্মিজ মার্কেট, সীবিচের ঝিনুক মার্কেট, রাখাইন মহিলা মার্কেট, শুটকির দোকান, খাবার রেস্তোরা, মিউজিয়াম, ইলিশপার্কসহ ছোট বড় মাঝারি সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

হোটেল সী প্যালেস ম্যানেজার রুবেল বলেন, কি বলবো আমাদের কথা হোটেলে মূলত কর্মচারীদের তেমন কোন বেতন নেই গেস্ট থাকলে তাদের সেবা দিয়ে যে বকশিস পাই সবাই মিলে মাস শেষে ভাগ করে নিই। এখন তো নিরুপায়।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সম্পাদক জাকারিয়া জাহিদ জানান, গত মাসের বেতন দিয়ে আমাদের ৫৪ জন জনকে স্টাফ ও মাঝিদের বেতন দিযে বিদায় দেই প্রায় দুই মাসের কাছে লেবার শ্রমিকের হাতে কোন খাদ্য সামগ্রী দিতে পারি নাই সরকারী ভাবের চেষ্টা করছি ফল পাইনি। পর্যটন নিয়ে কাজ করা কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজম্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুমের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, মহামারীতে কোন রকম শ্রমিকদের এাণ সহযোগীতা না থাকায় এটা দুঃখজনক। আশাকরি এই দুই মন্ত্রণালয়ে খ্বু দ্রুত বিবেচনায় আনবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ