পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা এরইমধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে গিয়ে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এ কয়েকমাস সবকিছু বন্ধ দেখে ঋণের সুদ বেড়ে গেছে, সেটার জন্য আপনারা চিন্তা করবেন না। আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসবো, কাজেই সুদগুলো যেন স্থগিত থাকে এবং পরবর্তীতে কতটুকু মাফ করা যায়, কতটুকু আপনারা নিয়মিত দিতে পারেন, সেটি বিবেচনা করা হবে, দুঃচিন্তায় ভুগবেন না।
গতকাল সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসকসহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কাজ নেই। বিশেষ করে আমাদের যারা একেবারে যারা হতদরিদ্র তাদেরকেও আমরা যেমন সাহায্য দিচ্ছি। কিন্তু নিম্নবিত্ত এমনকি ছোটখাট কাজ করে যারা খায় তাদের জন্য যথেষ্ট কষ্ট আমরা জানি। আর সেই কারণে একেবারে ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট ক্ষুদ্র ব্যবসা যারা করেন, প্রত্যেকের কথা চিন্তা-ভাবনা করে এবং অন্যান্য দিকে খেয়াল রেখে আমরা প্রায় এক লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি প্রণোদনা দিয়েছি এবং সেটা ভাগে ভাগে দিয়েছি। এখান থেকে মাত্র ২ শতাংশ সুদে আমরা টাকাটা দিয়ে দিচ্ছি। সেই ব্যবসাগুলো যাতে চালু রাখতে পারেন তা আমরা দেখব।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু যেসব জায়গায় এখনও এই রকম করোনাভাইরাস দেখা দেয়নি, ধীরে ধীরে আমরা সেই জায়গাগুলো আস্তে আস্তে শিথিল করে দিচ্ছি। যেন মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে বা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি।
প্রয়োজনে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনই খোলা হবে না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মসজিদে সীমিত আকারে নামাজ পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে বলবো ঘরে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। রমজানে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, যাতে বাংলাদেশ এই দুর্যোগ থেকে মুক্তি পায়। সারা বিশ্বের মানুষ যেন মুক্তি পায়।
ভিডিও কনফারেন্সের উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, একটা ভালো বিষয় দেখলাম যে, এই জেলাগুলো এখনও সেরকম সংক্রমিত হয়নি। যথেষ্ট ভালো আছে। এই বিষয়টি আপনাদেরকে ধরে রাখতে হবে। ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম দূর করতে ব্যবস্থা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে ত্রাণ বিতরণ করছি। ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে পুলিশ প্রশাসন র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাই তৎপর রয়েছে।
শিগগিরই দুই হাজার ডাক্তার, ছয় হাজার নার্স নিয়োগ
করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য নতুন করে আরও দুই হাজার ডাক্তার ও ছয় হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এরইমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই চিকিৎসক ও নার্সদের করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। করোনা চিকিৎসার জন্য প্রত্যেক জেলায় আইসিইউর ব্যবস্থা হবে।
বিত্তবানদের চাই চাই ভাবটা গেলো না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের জমানো দশ হাজার টাকা অসহায় মানুষের জন্য দিয়ে ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। এত বড় মানবিক গুণ আমাদের অনেক বিত্তশালীর মাঝেও দেখা যায় না। অনেক সময় দেখি, অনেক বিত্তশালী হা-হুতাশ করেই বেড়ায়। তাদের নাই নাই অভ্যাসটা আর গেলো না। চাই চাই ভাবটা গেলো না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মাঝে কিন্তু এখনও এই মানবিক বোধটা আছে। কিন্তু সেটা আমরা পাই কাদের কাছে? যারা নিঃস্ব তাদের কাছে। সবার ভেতরই এই বোধটা থাকা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।