Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মানবেতর জীবন এক্সট্রা মোহরারদের

৩০ কোটি টাকা প্রণোদনা দাবি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০৪ পিএম

মহামারী করোনায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত এক্সট্রা মোহরারদের। দলিলের শব্দগুনে পয়সা পান তারা। সরকারের রাজস্বখাত থেকে কোনো পারিতোষিক দেয়া হয় না। জমির ক্রেতার কাছ থেকে দলিলপ্রতি আদায় করা ৪০ টাকা থেকে হিসেব করে দেয়া হয় এক্সট্রা মোহরারদের মজুরি। কিন্তু সেই টাকাটাও আটকে আছে গত চার-পাঁচ মাস ধরে।
করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে নিবন্ধন শাখার এই গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবীদের এখন বড়ই দুর্দিন। পরিজন নিয়ে দিন কাটছে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে তাদের। নিবন্ধন অধিদফতর সূত্র জানায়, সরকারি চাকরির নিয়োগ বিধির মতোই শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সব যোগ্যতা ও নিয়মের ভিত্তিতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে এক্সট্রা মোহরার নিয়োগ করা হয়। তারা মোহরারদের সহযোগী। মোহরারদের প্রধান কাজ হচ্ছে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের নকল ভলিউমে তোলা।
দলিল রেজিস্ট্র্রির ১৫ দিনের মধ্যে নকল লেখার কাজ সম্পাদন করতে ব্যর্থ হলেই সহযোগী হিসেবে কাজ পান এক্সট্রা মোহরারগণ। স্পর্শকাতর বিধায় গভীর মনযোগসহকারে নিখুঁতভাবে সম্পাদন করতে হয় কপি করার এই কাজটি। প্রতিটি রেজিস্ট্র্রি অফিসে নির্দিষ্ট সংখ্যক এক্সট্রা মোহরার রয়েছেন। দেশের ৪৭৬টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১৫ হাজারের মতো এক্সট্রা মোহরার রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এক্সট্রা মোহরারদের কাজটি ‘চাকরি’ হিসেবে গণ্য হয়। অথচ রাজস্ব খাত থেকে তাদের বেতন দেয়া হয় না। জমির ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করা অর্থে মেটানো হয় মজুরি। ভলিউম বইয়ে লেখা ওঠানোর জন্য প্রতি ৩শ’ শব্দের বিপরীতে তারা পান ২৪ টাকা। এ খাতে জমি ক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হয় ৪০ টাকা। প্রতি মাসে এক্সট্রা মোহরার গড়ে পান সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। কাজ না থাকলে ২ হাজার টাকাও পান না অনেকে।
গত ৪/৫ মাস ধরে মাস ধরে এ টাকাটাও বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো.হেমায়েত উদ্দিন বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। সেটি করা হচ্ছে না। উপরন্তু গত ৪/৫ মাস ধরে পাওনা মজুরিও বন্ধ রয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা অন্তত: ৩০ কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়ে হাত পেতেছি।
মহাপরির্দক নিবন্ধন অধিদফতর (আইজিআর) মহোদয় আমাদের এই মর্মে আশ^স্ত করেছেন যে,এ বিষয়ে আইনমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। এ সময় রেজিস্ট্রি সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি জিয়াউল হক, খিল গাঁওয়ের সাব-রেজিস্ট্রার শেখ মো. আবু কাওসার এবং এক্সট্টা মোহরার এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 



 

Show all comments
  • Abdul Karim ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশ তো সিঙ্গাপুর - ব্যাংকক ছিল। বিশ্বের রোল মডেল ছিল। মধ্যম আয়ের দেশ, কিছুদিনের মধ্যেই কানাডায় রুপান্তরিত হবার কথা।। কিন্তু, এখন শুনি ডাক্তারের ড্রেস নেই, করোনা পরীক্ষার কীট নাই, সবাইকে পরীক্ষার সামার্থ নাই, কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নাই, ঢাকার বাইরে কোথাও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নাই, নাই, নাই! সন্তানের দুধ কিনতে মাথার চুল বিক্রি করে এক মা! হঠাৎ করে এত গরীব হয়ে গেলাম কীভাবে?
    Total Reply(0) Reply
  • কে এম শাকীর ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
    দেশে করোনা ভাইরাসে যতটা মানুষ মরবে না.! কিন্তু করোনা গুজবে অতঙ্কে বিনা চিকিৎসায় অনেক বেশি মানুষ মারা যাবে, না খেয়ে মারা যাবে। দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি পাবে, দেশ আর্থিকভাবে.
    Total Reply(0) Reply
  • Md Obaidul Islam ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
    আমরা ভিখারি নয় কাজ করতে চাই
    Total Reply(0) Reply
  • মেহেদী ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫৮ এএম says : 0
    অবহেলিতদের নিয়ে সংবাদ করায় ইনকিলাবকে ধন্যবাদ। সরকারেকে বলবো তাদের পাশে দাঁড়ান।
    Total Reply(0) Reply
  • জাকির হোসেন ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ৮:৪৫ এএম says : 0
    সরকারি অফিসে কাজ করেও তারা দীর্ঘদিন ধরে অস্তায়ী।আশ্চর্যজনক বিষয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashim Dhar ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১১:২৩ এএম says : 0
    অসহায় নকল নবিশ, আমাদেরকে করোনা একদম শেষ করে দিছে, অনাহারে মরতে হবে, ভাই আমাদের জন্য কিছু একটা করেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ