পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারী করোনায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত এক্সট্রা মোহরারদের। দলিলের শব্দগুনে পয়সা পান তারা। সরকারের রাজস্বখাত থেকে কোনো পারিতোষিক দেয়া হয় না। জমির ক্রেতার কাছ থেকে দলিলপ্রতি আদায় করা ৪০ টাকা থেকে হিসেব করে দেয়া হয় এক্সট্রা মোহরারদের মজুরি। কিন্তু সেই টাকাটাও আটকে আছে গত চার-পাঁচ মাস ধরে।
করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে নিবন্ধন শাখার এই গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবীদের এখন বড়ই দুর্দিন। পরিজন নিয়ে দিন কাটছে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে তাদের। নিবন্ধন অধিদফতর সূত্র জানায়, সরকারি চাকরির নিয়োগ বিধির মতোই শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সব যোগ্যতা ও নিয়মের ভিত্তিতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে এক্সট্রা মোহরার নিয়োগ করা হয়। তারা মোহরারদের সহযোগী। মোহরারদের প্রধান কাজ হচ্ছে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের নকল ভলিউমে তোলা।
দলিল রেজিস্ট্র্রির ১৫ দিনের মধ্যে নকল লেখার কাজ সম্পাদন করতে ব্যর্থ হলেই সহযোগী হিসেবে কাজ পান এক্সট্রা মোহরারগণ। স্পর্শকাতর বিধায় গভীর মনযোগসহকারে নিখুঁতভাবে সম্পাদন করতে হয় কপি করার এই কাজটি। প্রতিটি রেজিস্ট্র্রি অফিসে নির্দিষ্ট সংখ্যক এক্সট্রা মোহরার রয়েছেন। দেশের ৪৭৬টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১৫ হাজারের মতো এক্সট্রা মোহরার রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এক্সট্রা মোহরারদের কাজটি ‘চাকরি’ হিসেবে গণ্য হয়। অথচ রাজস্ব খাত থেকে তাদের বেতন দেয়া হয় না। জমির ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করা অর্থে মেটানো হয় মজুরি। ভলিউম বইয়ে লেখা ওঠানোর জন্য প্রতি ৩শ’ শব্দের বিপরীতে তারা পান ২৪ টাকা। এ খাতে জমি ক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হয় ৪০ টাকা। প্রতি মাসে এক্সট্রা মোহরার গড়ে পান সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। কাজ না থাকলে ২ হাজার টাকাও পান না অনেকে।
গত ৪/৫ মাস ধরে মাস ধরে এ টাকাটাও বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো.হেমায়েত উদ্দিন বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। সেটি করা হচ্ছে না। উপরন্তু গত ৪/৫ মাস ধরে পাওনা মজুরিও বন্ধ রয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা অন্তত: ৩০ কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়ে হাত পেতেছি।
মহাপরির্দক নিবন্ধন অধিদফতর (আইজিআর) মহোদয় আমাদের এই মর্মে আশ^স্ত করেছেন যে,এ বিষয়ে আইনমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। এ সময় রেজিস্ট্রি সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি জিয়াউল হক, খিল গাঁওয়ের সাব-রেজিস্ট্রার শেখ মো. আবু কাওসার এবং এক্সট্টা মোহরার এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।