পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রমজানে রাজধানীর ফুটপাতে কোন ধরনের ইফতারসামগ্রী বিক্রি করতে দেয়া হচ্ছে না। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতার বাজার গতকাল শনিবার প্রথম রোজায় বসেনি। প্রতিবছর রোজা শুরুর আগে থেকে চকবাজারের সড়ক বন্ধ করে চলে ইফতারের দোকান বসানোর নানা কর্মযজ্ঞ। কিন্তু এবার সে চিত্র ভিন্ন। বসানো হয়নি কোনো দোকান, নেই বিক্রেতাদের ব্যস্ততা। কেউ কেউ বসার চেষ্টা করলেও পুলিশ দ্রুত তাদের চলে যাওয়ার জন্য বলেন এবং দোকানদাররা বাধ্য হয়ে চলে যান। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতার বাজার যেন না বসে সে জন্য মাইকিং করা হয়েছে গতকাল। এ সময় বলা হয় করোনাভাইরাসের কারনে এ বছর চকবাজার শাহী মসজিদ রোড ও চক সার্কুলার রোডে ইফতারের বাজার বসবে না। আপনারা ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন। তবে চকবাজারের বিভিন্ন গলির মধ্যে ঐতিহ্যবাহী ইফতার নিয়ে দোকান বসতে দেখা গেছে। এসব দোকান থেকে স্থানীয় লোকজন গাদাগাদি করে ইফতারসামগ্রী ক্রয় করতে দেখা যায়।
রাজধানীর চকবাজারের ওসি মওদুদ হাওলাদার বলেন, এবার চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য সচেতনতার অংশ হিসেবে মাইকিং করা হচ্ছে যেন কেউ ইফতার নিয়ে না বসেন।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগরীর রাস্তা বা ফুটপাতে কোনো ধরনের ইফতারসামগ্রী বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ইতোমধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও সুপারশপে ডিএমপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে মহানগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রোজা শুরুর আগে থেকে নানা কর্মব্যস্ততা থাকে পুরান ঢাকার চকবাজারের ইফতার সামগ্রী বিক্রেতাদের মাঝে। রোজা শুরুর আগের দিন থেকেই বসে দোকান। মাসব্যাপী চলা এই ইফতার বাজারে মেলে নানান মুখরোচক খাবার। বিক্রি হয় ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ নামক একটি ভিন্ন ইফতার সামগ্রী। যা কয়েক বছর ধরে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। অনেকে শুধু এই খাবারের জন্য ভিড় করেন চকবাজারের ইফতার বাজারে। এছাড়া বটি কাবাব, সুতা কাবাব, রেশমি কাবাব, জালি কাবাব থেকে শুরু করে ১০ থেকে ১২ ধরনের কাবাব। আস্ত খাসি ভুনা, আস্ত কোয়েল ভুনার পাশাপাশি এখানে পাওয়া যায় নানান ধরনের টিকিয়া। পাওয়া যায় শাহী জিলাপি, মাঠা সহ অন্তত বিশ ধরণের মিষ্টি দ্রব্য। এসময় শতাধিক খাবারের পশরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। ইফতারে এসব খাবার রাখতে পছন্দ করেন অনেকেই। ফলে ঢাকার প্রায় সব এলাকা থেকে দুপুরের পড় থেকে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যেত চকবাজারে। লোকে লোকারণ্য থাকত ইফতার পর্যন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।