পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাভারে মাথার চুল বিক্রি করে শিশু খাদ্য কেনা সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক ছাত্রলীগ কর্মী। গত বৃহস্পতিবার রাতে সাভার থানা ছাত্রলীগের কর্মী রাজিম ভুঁইয়া মিশু বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ‘সেইভ সাভার’ ফেসবুক আইডির অ্যাডমিন রাজিব মাহমুদ (৩২), স্থানীয় সাপ্তাহিক নিউজ গার্ডেন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ওমর ফারুক (৪০) এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা ওবায়দুর রহমান অভিকে (৫০) আসামি করা হয়েছে।
বাদী বলেন, অভাবের তাড়নায় চুল বিক্রি করার ঘটনাটি মিথ্যা। এই ঘটনা প্রকাশ হওয়ার আগেও তার লোকজন ওই নারীকে ত্রাণ দিয়েছিল। সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য ‘সেইভ সাভার’ নামে ফেসবুক আইডিতে এর অ্যাডমিন রাজিব মাহমুদ মাথার চুল বিক্রি করে শিশুর দুধ কেনার একটি মিথ্যা পোষ্ট করেন। এরপরই ওবায়দুর রহমান অভি ওই নারীকে খাদ্যসামগ্রী দিতে যায়। যা ফেসবুকে লাইভ করেন ওমর ফারুক।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান নিরবচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বাদী মনে করেন, সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে তারা অনলাইনের মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে দেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. জাকারিয়া হোসেন মামলা নথিভুক্ত হওয়ার কথা জানান।
প্রসঙ্গত, এর আগে স্থানীয় প্রশাসনের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চুল বিক্রির প্রকৃত ঘটনাটি। প্রায় দেড় মাস আগেই সে তার চুল বিক্রি করে। সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান জুম্মন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাথার চুল বিক্রি করে শিশুর দুধ কেনার সংবাদটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশের পর তদন্তে নামে উপজেলা প্রশাসন। তদন্তে জানা যায়, ওই মহিলা প্রায় দেড় মাস পূর্বেই তার চুল কেটে বিক্রি করেন এবং করোনা দুর্যোগের জন্য অর্থকষ্টে তিনি চুল বিক্রয় করেননি। চুল বিক্রি করে দুধ কেনার ঘটনাটি সাজানো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।