পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনে থেকে যারা যুদ্ধ করেছেন তারা হচ্ছেন ডাক্তার-নার্সসহ চিকিৎসাকর্মীরা। তাদের পরিশ্রম, সেবা ও আন্তরিকতায় সুস্থ হয়ে উঠেন রোগীরা। কিন্তু রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসাকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ভীতির সঞ্চার করেছে তাদের মধ্যে। দেশে এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মোট আক্রান্তের বিচারে এবং শতাংশের দিক দিয়ে বিশ্বে যেকোনো দেশের মধ্যে বাংলাদেশেই চিকিৎসাকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) এর তথ্য মতে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। নার্স ও চিকিৎসাকর্মী মিলিয়ে তা ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। এতো পরিমাণ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী যুক্তরাষ্ট্র বা ইতালিতেও আক্রান্ত হয়নি। বাংলাদেশে মোট আক্রান্তের ১৫ শতাংশই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।
বিডিএফের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ডা. নিরুপম দাশ বলেন, বিশ্বে চিকিৎসকদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি। দেশে যে পরিমাণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে চিকিৎসক ১৩ শতাংশ। সব স্বাস্থ্যকর্মী মিলে হিসাব করলে এটা ১৫ শতাংশের বেশি। এটা সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ। ইতালিতে এই হার ৮.৭ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১১ শতাংশ। বিডিএফ এর তথ্যানুযায়ী, আক্রান্ত হওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৬৮ জন। এর মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতালে সর্বোচ্চ ২৫ জন। ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত হওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক রয়েছেন ১১৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ৩৫ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন আট জন করে। ময়মনসিংহ বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন আট জন, এর মধ্যে গফরগাঁওয়ে রয়েছেন সর্বোচ্চ তিনজন। চট্টগ্রাম বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন সাত জন, এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ছয় জন, বেসরকারি হাসপাতালে এক জন। বরিশাল বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ জন চিকিৎসক। রংপুর ও খুলনা বিভাগে ৩ জন করে চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুসারে এখন পর্যন্ত চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন ১৬১ জন চিকিৎসক। অপরদিকে নার্স ৬৬ জনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২ জন। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন, এ পরিস্থিতি খুবই ভীতিকর এবং উদ্বেগজনক। এভাবে যদি চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হতে থাকেন তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে সব মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।