পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে রমজানে তারাবিহসহ অন্যান্য নামাজ বাড়িতে আদায় করার নির্দেশনা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ আমিরাত ফতোয়া কাউন্সিল। এছাড়া যেসব স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন, তাদের রোজা না রাখার পরামরর্শ দেয়া হয়েছে। এদিকে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে রোজার সময় জামাতে নামাজ আদায় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববী কর্তৃপক্ষ টুইটারে এ নির্দেশনার কথা জানিয়েছে।
আমিরাত ফতোয়া কাউন্সিল স্থানীয় সময় রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, সুস্থ মানুষ অবশ্যই রোজা রাখবেন কিন্তু যারা সামনে থেকে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তাদের রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। যদি স্বাস্থ্যকর্মীরা মনে করেন, রোজা রাখলে তারা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়বেন কিংবা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে, তাহলে তাদের রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। কেননা, করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু না হওয়ার বিষয়টি এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘রমজান মাস জুড়ে মুসলিমদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। এমনকি ঈদ-উল-ফিতরের ক্ষেত্রে একই নির্দেশনা প্রযোজ্য।’ ফতোয়া কাউন্সিলের বিবৃতি অনুযায়ী, জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া হলে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। ইসলামে কঠোরভাবে এর বিরুদ্ধে নিষেধ রয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমিরাতে ইতোমধ্যে সব ধরনের উপাসানলয়ে প্রার্থনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি আমিরাতে ইতোমধ্যে ৬ হাজার ৭৮১ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪১ জন মারা গেছেন। জিসিসি জোটভুক্ত ছয় দেশের মধ্যে সউদীর পরেই আমিরাতে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, সউদী আরবের এই দুই মসজিদে রোজার সময় এশার নামাজ হলেও কোনো জামাত হবে না। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার প্রেক্ষিতে সউদী আরব গত ২৭ ফেব্রæয়ারি থেকে বিদেশিদের ওমরাহ করার অনুমতি দেয়া বন্ধ করার পাশাপাশি টুরিস্ট ভিসা দেয়া বন্ধ রাখে ও বেশিরভাগ জনসমাগম স্থানও বন্ধ করে দেয়। এরপর ১৭ মার্চ এক ঘোষণায়, মক্কা ও মদিনার প্রধান দুই মসজিদ ছাড়া সউদী আরবের বাকি সব মসজিদে জামাতে নামাজ স্থগিত করে নির্দেশ জারি করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। পরে এ দুটি মসজিদেও জামাতে নামাজ আদায় বন্ধ করা হয়।
২৩ মার্চ সউদী আরব জুড়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ২১ দিনের কারফিউ জারি করেছিল দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে কারফিউ’র মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ায় তারা। ২ এপ্রিল পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় ২৪ ঘন্টার কারফিউ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ন্ত্রণে না এলে মসজিদে জামাতের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে হবে জানিয়ে রোজার মাসে তারাবির নামাজ ঘরেই পড়ার আহŸান জানায় সউদী সরকার। সউদীতেও ইতোমধ্যে ২৬ হাজার ৬০০ জনের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছে ১৬০ জন। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।