পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী জুন পর্যন্ত সময়ে কতজনকে ত্রাণ দিতে হবে এবং বর্তমান দেশের উপকারভোগীদের ডেটাবেইজ তৈরির জন্য একটি কমিটি করেছে সরকার। এ কমিটি সংখ্যা নিরূপণের পাশাপাশি কী পরিমাণ ত্রাণ লাগবে তা জানাবে।
এছাড়া ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৩৩৩ নম্বরে কল করে যে কেউ যাতে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা চাইতে পারেন সেজন্য সফটওয়্যার তৈরির লক্ষ্যে একটি ব্যবস্থাপনা এবং একটি কারিগরি কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য আগামী জুন মাস পর্যন্ত ত্রাণ গ্রহণকারী উপকারভোগীর সংখ্যা নিরূপণের পাশাপাশি কী পরিমাণ ত্রাণ লাগবে তা নির্ধারণে একটি কমিটি করা হয়েছে।
১১ সদস্যের এ কমিটিতে উপকারভোগীর সংখ্যা নিরূপণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসনকে আহŸায়ক করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও রওশন আরা বেগম এবং উপসচিব এ কে এম মারুফ হাসানকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের পরিচালক মো. ইফতেখারুল ইসলাম ও হাবিবুল্লাহ বাহার, ত্রাণ সচিবের একান্ত সচিব শাব্বির আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. শাহজাহান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রামার মোহাম্মদ আব্দুল কাদের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে এই কমিটিতে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এস এম হুমায়ূন রশিদ তরুণ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
সব বিভাগ থেকে প্রাপ্ত সারা দেশের উপকারভোগীর তালিকা এবং এপ্রিল থেকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত তাদের ত্রাণ দিতে কী পরিমাণ চাল লাগবে তা এই কমিটিকে নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে সরকার আট দফায় ৬৪ জেলার জন্য সরকার ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৯৪ হাজার ৬৬৭ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দিয়েছে।
অন্যদিকে দুর্যোগের সময়ে জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই এর সহযোগিতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সফটওয়্যার তৈরি করতে ব্যবস্থাপনা কমিটির আহŸায়ক করা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালকে। সাত সদস্যের এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফয়জুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহা-পরিচালক মো. মোহসীন, এসএমওডিএমআরপিএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সত্যেন্দ্র কুমার সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাছিম এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পরিচালক আহমাদুল হক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেনকে এই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।