পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমণে চারটি জেলা এখন হটস্পট। এগুলো হলো, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং নরসিংদী। আইইডিসিআর এর তথ্যমতে, ঢাকা মহানগরীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। নতুন করে সংক্রমিত এলাকা হয়ে উঠেছে গাজীপুর। গাজীপুরের পরই দ্রæত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জে। আর করোনার সংক্রমণ শুরুই হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে।
গতকাল শনিবার দুপুরে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে নতুন রোগী আমরা যাদেরকে দেখতে পেয়েছি, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে ঢাকা শহরে, শতাকরা ৩২ ভাগ। এরপরই নতুন একটি সংক্রমিত এলাকা দেখতে পাচ্ছি গাজীপুর। গাজীপুরের পরই নতুন সংক্রমিত এলাকা নরসিংদী। এর পরের সংক্রমিত এলাকা কিশোরগঞ্জ।
ঢাকার সাভার, আশুলিয়া, মহানগরীর উত্তরা, বাড্ডা, মিরপুর, রামপুরা, কমলাপুর, বনানী এলাকায় রয়েছে কয়েকশ’ গার্মেন্টস কারখানা। এসব কারখানার শ্রমিকরা গত সপ্তাহজুড়েই বকেয়া বেতনের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। সামাজিক বা শারিরিক দূরত্ব না মেনে তাদের রাস্তায় অবস্থান করাতে চিকিৎসকসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অথচ প্রশাসনকে এসময় একটুও তৎপর হতে দেখা যায়নি।
চলতি মাসের ৪ তারিখে হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক পরিবহন বন্ধ থাকার পরেও পায়ে হেঁটে এবং ফেরিতে করে কর্মস্থলের দিকে আসে। ৫ এপ্রিল গার্মেন্টস কারখানা খোলার পর সমালোচনার মুখে আবার বেশ কয়েকটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই সময় থেকেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেপরোয়া আচরণে অনেকেই ক্ষুদ্ধ। এজন্য গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কেও দায়ী করা হয়। তারা কেন কারখানা খোলার ঘোষণা দিয়ে শ্রমিকদের কর্মস্থলমুুখি করলো তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। শুক্রবার রাতে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে সরকারি অফিস খোলার আগে আর কোনো গার্মেন্টস কারখানা খুলবে না। অর্থাৎ এখনও আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি বলবৎ আছে। এই ছুটি বাড়তে পারে। সে মতেই ২৬ এপ্রিল গার্মেন্টস না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিএমইএ। এই সিদ্ধান্তকে অনেকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, বিজিএমইএ এই ঘোষণা আগেই দিতে পারতো।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কোনো নিয়মনীতির মধ্যে আনা যায়নি। যে কারণে লকডাউনের মধ্যেও তারা রাস্তা অবরোধ করে মিছিল বিক্ষোভ করেছে। হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে ফেরিযোগে ঢাকা ফিরেছে। সে সময়ই আঁচ করা হয়েছিল এদের দ্বারা ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমিত হতে পারে। শেষ পর্যন্ত তাই হতে চলেছে। যা ঢাকাসহ চার জেলার মানুষকেই শুধু নয়, গোটা দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইউরোলোজিস্ট ডা. আব্দুল আলীম ইনকিলাবকে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। গার্মেন্টস শ্রমিকরা এভাবে লকডাউন ভেঙে বিক্ষোভ করলো আর আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা চেয়ে চেয়ে দেখলো। এতে করে আমরাই সংক্রমিত হবো, হচ্ছি। পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। নতুন করে গাজীপুর ও নরসিংদী করোনার হটস্পটে যুক্ত হওয়াকে তিনি স্বাভাবিক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, শ্রমিকরাই করোনাভাইরাসের জীবানু বহন করে নিজেদের কর্মস্থলে ছড়িয়ে দিয়েছে। এটা থেকে রক্ষার জন্য আরও আগে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।