পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রমজানে তারাবি ও অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগী ঘরে বসে আদায় করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। গতকাল সংগঠনের সভাপতি আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব আলহাজ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় মানবজাতির জন্য একটি বড় বিপর্যয় নেমে এসেছে। এমতাবস্থায় মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ও সরকারসমূহ মসজিদে জামাত, জুমা, তারাবি ইত্যাদি জমায়েত হয়ে না পড়ে নিজ নিজ অবস্থানে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে। এসবই নাগরিকদের স্বার্থে নিরাপত্তা জনিত কারণে নানা সতর্কতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বনের অংশ।
সউদী আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ আলে শায়খ, মিসরের আল আজহারের প্রধান শায়খ, তুরস্কের প্রধান মুফতিসহ মুসলিম বিশ্বের বিশিষ্ট আলেমগণ মহামারীর সময় ঘরে নামাজ পড়ার কথা বলেছেন। ফতওয়া, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে জুমা, জামাত, তারাবি ইত্যাদি ঘরেই পড়তে হবে। মোদার্রেছীন নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে আলেমগণের সাথে পরামর্শ করে গৃহীত সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বর্তমানে আরব ও মুসলিম বিশ্বের সাথে একাত্ম হয়ে ইসলামের এই নীতিমালা অনুসরণ করে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ জনগণকে ঘরে বসে নামাজ, ইবাদত-বন্দেগী ও আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে বলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও আন্তরিক মুবারকবাদ জানান। ইন শা আল্লাহ বিপদের মুহূর্তে মুসলমানরা এসব নিয়মনীতি ও নির্দেশনা মেনে চললে আল্লাহর রহমত, বরকত ও নাজাত লাভ করতে পারবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।