পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস দুর্যোগেও জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের কেউ কেউ ত্রাণের চাল মেরে খাচ্ছেন। গরীবের হক আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখে চুপিসারে দিচ্ছেন সবচেয়ে ঘনিষ্টদের।
দেশের অনেক এলাকার মতো বগুড়াতেও ত্রাণ নিয়ে কেলেঙ্কারী হয়েছে। আবার এর মাঝেই দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। বগুড়ার শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গোটা এলাকা যেন আলোকিত। ত্রাণসহ সরকারি অনুদান নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ নেই।
এর নেপথ্যের নায়ক হলেন ইউনিয়ন পরিষদের মিড টার্ম উপ-নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রলীগ বর্তমানে যুবলীগ নেতা ও প্রভাষক কামরুল হুদা উজ্জ্বল। এক উজ্জলেই আলোকিত পুরো শাখারিয়া ইউনিয়ন!
এই তথ্য জানালেন ওই ইউপির সাবেক মেম্বার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেজাউল হক। তিনি জানান, করোনাভাইরাস শুরুর পর চেয়ারম্যান উজ্জ্বলকে সহজে কোথাও পাওয়া যায় না। দিন কিংবা রাত নেই তিনি পুরো ইউনিয়ন চষে ফিরছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন কার সর্দি-কাঁশি কিংবা জ্বর।
অসুস্থতার খবর পেলেই উজ্জ্বল সোজা নিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তারের কাছে। আবার ত্রাণের চাল পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। তিনি গত বছরের জুনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় ইউনিয়নের সবাইকে কথা দিয়েছিলেন ট্যাক্স প্রদানে অক্ষমদের ট্যাক্স তার মাসিক সম্মানী ভাতা ও কলেজের বেতন থেকে নিজেই পরিশোধ করবেন। অনেকেই সে কথা বিশ্বাস করেনি। তবে এখন শাখারিয়াবাসী দেখতে পাচ্ছেন, নির্বাচনী ওয়াদার সবকিছুই অক্ষওের অক্ষরে পূরণ হচ্ছে।
জি আর, ভিজিডি, ভিজিএফ, ১০ টাকা কেজির চাল, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের দেওয়া প্রণোদনা, ফসলের বীজ, সারের ভর্তুকি সব কিছুই প্রাপকদের হাতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন চেয়ারম্যান উজ্জ্বল। আর এ তথ্য জানালেন ওই ইউনিয়নের তরুণ সমাজ কর্মী ও পল্লী মঙ্গল হাটের ব্যবসায়ী আবু সাঈদ।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে রাতের ঘুম শেষে সকাল হলেই ছুটেন ইউপি কার্যালয়ে। মেম্বারদের নিয়ে চালাচ্ছেন পরিচ্ছন্নতা অভিযান। পরিষদের কর্মী গ্রাম পুলিশদেরও কাজে লাগাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কদিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা লালমিয়া জানালেন, গত বৈশাখের ঝড়ে বাড়ি ভেঙে পড়ে। ভাবিনি সরকারি সাহায্য পাবো। কিন্তু চেয়ারম্যান উজ্জ্বল যখন টিন নিয়ে হাজির হলেন, তখন বিশ্বাস হল সরকার গরীবকে সহায়তা করে। অতীতে এভাবে কেউ সাহায্য নিয়ে আসেনি।
ত্রাণ কার্যক্রম সম্পর্কে শাখারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জানালেন, গত মার্চের সব সরকারি বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বিতরণের পর চলতি মাসের বিতরণ চলছে। আর বিতরণের কাজটি সচ্ছভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই হচ্ছে। সরকারি সহায়তার বাইরে তিনি ব্যক্তিগতভাবেও নিজের তহবিল এবং সোশ্যাল কন্টাক্টকে কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন যাতে এই দুর্যোগের মধ্যেও যেন ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ ভালো থাকে।
নিজের দলীয় দায়ব্ধতার কথা বলতে গিয়ে তিনি আরো জানালেন, দেশের জন্য প্রতিটি মুহুর্ত কাজে ব্যস্ত থাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি চাই না সরকার প্রধানকে এমন কথা যেন শুনতে না হয় যা তাকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তোলে। সব সময় এই চিন্তা চেতনা থেকেই একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে জনগণের সেবা করছেন। তিনি পরিবারকে বলেন, ‘তোমরা যেমন আমার, তেমনি যারা আমায় সেবা করার দায়িত্ব দিয়েছে তারাও আমার’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।