Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ জোরদার বিশ্বজুড়ে

শনাক্ত : ২১,৪৫,৫৫৬ মৃত : ১,৪৪,০৬১ সুস্থ : ৫,৪৫,৭১৩

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫১ পিএম

বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে করোনভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগও চলছে মহাসমারোহে। চীনের উহান থেকে উদ্ভ‚ত রোগটি তার মূলকেন্দ্র দু’বার পরিবর্তন করে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ ছুঁইছুঁই করছে। একই সঙ্গে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরা রোগীর সংখ্যা অর্ধ লাখ ছুঁতে চলেছে। এদিকে ইউরোপের স্পেন, ইতালির পথ অনুসরণ করে আস্তে আস্তে লকডাউন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। অপরদিকে ভারতে লকডাউন শিথিল করা হবে ২০ এপ্রিল থেকে।
এদিকে গতকার রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনারোগী শনাক্ত হয়েছে ২১ লাখ ১৫ হাজার ৬২৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ১৯৫ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরা মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ২৬ হাজার ৭৮৬ জন। গতকাল সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাণহানি ঘটেছে আরো ২ হাজার ৫ শতাধিক মানুষের। এদের মধ্যে মারা গেছে যুক্তরাজ্যে ৮৬১, বেলজিয়ামে ৪১৭, স্পেনে ৩১৮, হল্যান্ডে ১৮১, সুইডেনে ১৩০, যুক্তরাষ্ট্রে ১১২. ইরানে ৯২, জার্মানিতে ৪৬, মেক্সিকোতে ৪৩, রাশিয়ায় ৩৪, পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ডে ৩০ জন করে, ইন্দোনেশিয়ায় ২৭, রোমানিয়ায় ২০, পাকিস্তানে ১৭ এবং ইসরাইলে ১০ জন।
এদিকে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছে ভারত। ক্ষেত্রবিশেষ স্বাভাবিক করার কথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে করোনার থাবা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সর্বত্রই মারণ এই ভাইরাস রুখতে চলছে লকডাউন। প্রথম দফার ২১ দিন শেষ হতে না হতেই দ্বিতীয় দফায় ১৯ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে, যা চলবে ৩ মে পর্যন্ত।
ইতোমধ্যেই দেশটির ১২৩ জেলাকে হটস্পট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, দেশটির ছয়টি মেট্রো সিটি কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ-কেও এই তালিকায় রাখা হয়েছে। এই হটস্পট জোনগুলোতে আগামী ২৮ দিন পর্যন্ত সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়াসহ বেশ কয়েকটি জেলাকেও হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জার্মানিতে বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে ৪ মে
করোনাভাইরাসের মহামারী নিয়ন্ত্রণে আরোপ করা বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিলের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। সামাজিক শিষ্টাচার মেনে চলার নিয়ম বলবৎ থাকবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। তবে গণপরিবহন ও দোকানে মাস্ক ব্যবহার চালু থাকবে। এছাড়া আগামী সপ্তাহ থেকে খুলে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট সাইজের দোকান। আগামী ৪ মে থেকে পর্যায়ক্রমে জার্মানির স্কুলগুলো খুলে দেয়া হবে। করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় পুরোপুরি লকডাউনের পথে না গিয়ে দুইয়ের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করে জার্মানি। মানুষের মধ্যে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটার ব্যবস্থা ছাড়া দোকানবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক স্থাপনা বন্ধ রাখা হয়। তবে ইস্টার সানডের পর বিধিনিষেধে শিথিলতা আনতে সরকারের ওপর চাপ বাড়তে থাকে।
১১ মে লকডাউন ওঠাবে ফ্রান্স
মৃত্যুর মিছিল অব্যাহ থাকার মধ্যেই আগামী ১১ মে থেকে আস্তে আস্তে লকডাউন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। ইস্টার সোমবার জাতির উদ্দেশে একটি নিখুঁত সম্বোধনে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছিলেন, তিনি ফ্রান্সে করোনাভাইরাস-প্ররোচিত বন্দিদশার জন্য একটি শেষ তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ১১ মে থেকে নার্সারি, কে-১২ স্কুল এবং কিছু দোকান চালু করার মধ্যদিয়ে কোয়ারেন্টাইন প্রত্যাহার করা হবে ‘ধীরে ধীরে’। সূত্র : কোয়ার্টজ, ওয়ার্ল্ডমিটার্স।



 

Show all comments
  • মো আল আমীন ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ পিএম says : 0
    গোটা বিশ্ব একসাথে মিলে করোনা ভাইরাসের ঔষধ বানাচ্ছে না কেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ