Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ত্রাণ বিতরণে যে কোন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ২:০৮ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ত্রাণ বিতরণে যে কোন অনিয়মের বিরুদ্ধে দলমত বিবেচনা না করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ত্রাণের অপব্যবহার এটা আমরা বরদাস্ত করবো না। সেটা আমার দলেরই হোক বা অন্য দলেরই হোক আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বুধবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান গ্রহণকালে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি মানুষের কাছে যেন ত্রাণ পৌঁছে দিতে সরকার নেওয়া ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই রিলিফ দেওয়া নিয়ে কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেই এর সঙ্গে জড়িত সে যে দলেরই হোক তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি, ব্যবস্থা নেবো।

‘কারণ গরীব মানুষের জন্য আমরা যে সহায়তা দেবো কেউ এর অপব্যবহার করবে, এটা আমরা বরদাস্ত করবো না। সেটা আমার দলেরই হোক বা অন্য দলেরই হোক আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ৫/৭ টি জায়গা ত্রাণ বিতরণ অনিয়ম হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েকটা জায়গায় এ সমস্যা পেয়েছি, তা খুব বেশি না। আমরা যদি তুলনা করি আমাদের প্রায় ৬৮ হাজারের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। ৪ হাজারের ওপরে ইউনিয়ন, এরপর উপজেলা রয়েছে। সব হিসেব কওে দেখা গেলো যে হয়তো ৫/৭ জায়গায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে একটা শ্রেণি শুধু সরকারের সমালোচনা করে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেকে অনেক কথা বলে বেড়াচ্ছেন, অনেক দল-মত, সুশীল সমাজ বা অনেকেই। তারা কিন্তু মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না। সমালোচনা করতেই ব্যস্ত।শেখ হাসিনা বলেন, ৬৮ হাজার জায়গায় আমরা ঠিক মতো দিয়ে যাচ্ছি, সেখানে ৫/৭ টা জায়গায় একটু সমস্যা হয়, আমার তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নিয়েছি। সেটা নিয়ে তারা চিৎকার করে যাচ্ছেন তারা কিন্তু একটা মানুষকেও একটি পয়সা দিয়েও সাহায্য করছে না। মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। কিন্তু তাদের কথাটা বিক্রি করেই যাচ্ছেন। এ ধরনের লোক থাকবেই, সব সমাজেই থাকে। তারা কথা বেচেই যাবে এটাই তাদের প্রফেশন। এটাই তারা করে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত কথা না বলে কয়েকটা মানুষকে সাহায্য করেন। এই দু:খের সময়ে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মানুষকে নিজে কতটুকু দিলেন সে হিসেবটা করুণ। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন এবং সেটা আমরা কার্যকর করে যাচ্ছি। চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর প্রতিটি সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী আমাদের যে নেতা-কর্মী তাদেরকেও আমরা নির্দেশ দিয়েছি। তাঁরাও মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সরকারি ভাবে যা দেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি বেসরকারী ভাবে যে যতটুকু পারছেন সাহায্য করে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে যেমন বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি তেমনি ১০ টাকা কিলো মূল্যে ওএমএস’র মাধ্যমে চাল সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি। যারা তালিকার বাইরে রয়েছে তাঁদের জন্য আমরা কার্ড তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি মানুষ যেন সহায়তাটা পায় সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যাতে প্রত্যেকের ঘরে এই ত্রাণ সহযোগিতাটা পৌঁছে যায়। রাত্রে রাত্রে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । যাতে কওে কেউ ভীড় না করে। এক সাথে জমা না হয়। নতুন কের কেউ যাতে সংক্রমিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ত্রাণ সহযোগিতায় এগিয়ে আসা ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিচ্ছিন্ন ভাবে জনসমাগম করে ত্রাণ বিতরণ না করে প্রশাসনের মাধ্যমে সমন্বিত ভাবে ত্রাণ বিতরণ করার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এক জায়গায় জড়ো হওয়া বা ভিড় করে ত্রাণ বিতরণ করবেন না। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। যারা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন তারা সরকার, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সহযোগিতায় ত্রাণটা বিতরণ করেন যাতে লোক সমাগম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।’ প্রত্যেকটি এলাকায় কমিটি করে দিযেছি, স্বেচ্ছাসেবকরা রয়েছে। তাঁদের মাধ্যমে ত্রাণটা বিতরণ করলে সকলেই পাবে। কেউ বাদ যাবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের যে দু:সময় সেটা একদিন কেটে যাবে এবং বাংলাদেশ আবারো এগিয়ে যাবে এবং এই বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই ইনশাল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো।

৩৩ টি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান হিসেবে নগদ অর্থ ও পিপিই প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এসব অনুদান গ্রহণ করেন। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত ছিলেন।



 

Show all comments
  • Nadim ahmed ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ৩:৩৮ পিএম says : 0
    Honerable PM, the culprits are only from your Party. There is no WY that anyone from other party will even try to do some wrong doings with the releif now. People of other parties are so afraid of the leaders and activists of your party, police, RAB and Army and other law and order forces that they will be more than happy if they can survive somehow.
    Total Reply(0) Reply
  • *হতদরিদ্র দিনমজুর কহে* ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ৭:১৯ পিএম says : 0
    আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।দোয়া মানুষের অন্তর থেকে ই উঠে আসে।রিলিপ চোর দমন করার হিম্মত আপনার আছে। কঠর সাহসি পদখ্খেপ ই যথেষ্ঠ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ১১:০৮ পিএম says : 0
    এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন তিনি ত্রাণ বিতরণে কোন রকম অমিল হলে তাঁর ব্যাবস্তা গ্রহণ করবেন। জননেত্রী হাসিনা তাঁর কথা রেখেছেন এবং রাখবেন এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি সংবাদে পড়েছি ইতিমধ্যেই সরকার ত্রাণ বিতরণের অবহেলা পেলেই ব্যাবস্থা নিচ্ছে যার পরিণতিতে আমরা দেখছি পুকুরে চাল পাওয়া যাচ্ছে। আসুন আমরা আল্লাহ্‌র দরবারে জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘআয়ু ও সুস্বাস্থ কামনা করি। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ