Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়া চিশতিয়া দরবার শরীফের ব্যাখ্যা

পুলিশের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা

বিশেষ সংবাদদাতা, বগুড়া : | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রখ্যাত ভাষা সৈনিক মরহুম অ্যাডভোকেট গাজিউল হকের পিতা এবং চিশতিয়া তরিকার পীর হযরত মাওলানা সিরাজুল হক চিশতির মাজারে গত ২৫ মার্চ এক অপ্রীতিকর ঘটনায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা আহত, মরহুম পীর ছাহেবের নাতি ও ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের ছেলে রাহুল গাজীসহ ২৩ জনকে আটকের ঘটনার ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছে দরবার কর্তৃপক্ষ।

ব্যাখ্যায় বলা হয় , গত ৭০ বছর ধরে ২৫ মার্চ তারিখে মাজার শরীফে ওরছ হয়ে আসলেও এ বছর সেখানে ওরছের কোন আয়োজনই ছিল না। মাজার শরীফের পাশের এক প্রভাবশালী প্রতিবেশী এবং এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর দীর্ঘদিন ধরেই মাজার শরীফ উচ্ছেদ করে সেটার দখল নিতে অভিলাষী ছিল। তারাই একটি ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে। ফলে ওরছের কোন আনুষ্ঠানিকতা না থাকা সত্তে¡ও ওই রাতে দরবার শরীফের নিয়মিত খাদেম, ঢাকা থেকে আসা রাহুল গাজীসহ কয়েকজন নিয়মিত মুসল্লির এশার নামাজের প্রস্তুতির সময় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও অপর এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে কথিত ওরছের অজুহাতে রাহুল গাজীর ওপর চড়াও হয় ও তাকে মারধর করতে থাকে।

এতে রাহুল গাজীর বাড়ির কেয়ার টেকার ও পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ ও কান্নাকাটি শুরু করলে আশপাশের অনেকেই সেখানে ঢুকে পড়ে। যাদের মধ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষে ক্যাডার টেম্পু শামীম ও তার দলবল ছিল। যারাই হয়তো রাহুল গাজীর ওপর চড়াও হওয়া পুলিশদের আহত করে। যার পরিণতিতে দ্রুত এক অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেয়।

এরপর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাহুল গাজীসহ ২৩ জনকে ধরে নিয়ে যায়। মাঝরাতে রাহুল গাজীকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের পরদিন জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়। যাদের জেলহাজতে পাঠানো হয় তাদের মধ্যে দু’জন সাবেক পৌর কাউন্সিলরও রয়েছেন। বাকিরা সবাই বয়োবৃদ্ধ এবং একজন মানসিক প্রতিবন্ধীও রয়েছেন।
সৃষ্ট এই ঘটনার সাথে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীরা আকিদাগতভাবে মাজার বিরোধী, জায়গা জমি কেনা বেচার সাথে জড়িত। মূলত তারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর মাধ্যমে মাজার ও সংলগ্ন মূল্যবান ভ‚-সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্ব পালনকারীরা যেন চলে যেতে বাধ্য হয় এবং রাহুল গাজী যেন ঢাকা থেকে আর বগুড়ায় আসতে না পারেন এটাই চেয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির অবসান হলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে প্রেস কনফারেন্সসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন রাহুল গাজী বলে ব্যাখ্যায় জানানো হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ