পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমারাদের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা যেন ব্যহত না হয়, আইসোলেশন ওয়ার্ড যেগুলো করা হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হয়- সেদিকে নজর দিতে হবে। আমার অনেক কিছুর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছি। করোনার বিরুদ্ধেও জয়লাভ করবো।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিশ^ স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনলাইন সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য ভবনের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বধন জং রানা। অনলাইনভিত্তিক এই সভায় সারাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমকতারা সংযুক্ত ছিলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, অধিদফতর থেকে সারাদেশে যে পিপিই পাঠানো হচ্ছে তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। সেগুলো যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক যেন খোলা থাকে, সেখানে যেন সেবা প্রদান হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার নার্সদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি সব সময় করোনা বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেনা। এই যুদ্ধে তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে রয়েছেন। আমার সবাই করোনা মোবালোয় কাজ করছি। আমরা ইতিমধ্যে ১৬ টা ল্যাব বসিয়েছি। এসব ল্যাবে যেন বেশি বেশি পরীক্ষা করা হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। বেশি পরীক্ষা হলে বেশি রোগী চিহ্নিত হবে। তাহলে আমরা রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মসজিদে নামাজের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। কারন বিভিন্ন্ দেশে ওখান থেকেই সংক্রমন ছড়িয়েছে। তবে আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অনেক দেশ করোনা মোকাবেলা করতে পেরেছে। আশা রাখছি আমরাও পারবো। আমার শুনেছি চিকেন পক্স একসময় মহামারী হিসেবে দেখা দিয়েছেল। প্লেগে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। এখন আমরা দেখছি করোনায় ইতিমধ্যে ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছে। আমাদের দেশেও এ রোগটি এসেছে। তবে আমাদের দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুও সংখ্য অনেক কম। আমরা সকলের রোগ মুক্তি কামনা করি।
বিশ^ স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় যেভাবে ডাক্তার গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নার্সরাও। তবে নার্সরা বেশি ঝুকি নিয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী নার্সদের যথেষ্ট ভালবাসেন, তাদের দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যদা দিয়েছে, সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েছেন, উচ্চ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন, মিডওয়াইফদের উচ্চ মানের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে, ডাক্তার যখন রোগীকে দেখে চলে যায় তখন নার্সরা তাদের সেবা দেয়া। আমার মনে করি করোনা আক্রান্তদের সেবা নার্সরা দিয়ে যাচ্ছেন। আমার নার্সদের সঙ্গে আছি।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য: ‘নার্স ও মিডওয়াইফদের দায়িত্বে সহযোগীতা, মানসম্পন্ন সেবার নিশ্চয়তা’।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় জয়ী হতে হলে চিকিৎসকসহ সব স্টেক হোল্ডারদের প্রশিক্ষত করতে হবে। এই পরিস্থিতি উত্তোরণের পর অবশ্যই সে দিকে গুরুত্বারোপ করতে হবে। নার্স ও মিডওয়াইফদের সহযোগীতা করতে হবে, নার্স ও মিডওয়াইফদের দায়িত্ব যথযথভাবে পালনে সবাইকে তাদের সহযোগীতা করতে হবে। এখন করোনাভাইরাস চলছে, তার মানে এই নয় এখন কোন মা প্রসূতি হবে না, অন্যকোন রোগী অসুস্থ হবে না। এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেতে হবে নার্স ও মিডওয়াইফদের। তাই সংশ্লিষ্ট সবারই উচিত তাদের সহযোগীতা করা।
এদিকে গতকাল ‘বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ)’ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমত আরা পারভীন ও মহাসচিব মো. জামাল উদ্দিন বাদশা, স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ (স্বানাপ) এর সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনএ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন পাটওয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জুয়েল এক যৌথ বিবৃতিতে বিশ^স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে সর্বোস্তরের নার্স, চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিষ্টসহ স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত সকলকে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সর্বাত্বক আতœনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।