পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রিজার্ভ চুরি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে (ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক) বাংলাদেশ ব্যাংক যে মামলাটি করেছিল, তা খারিজ হয়ে গেছে। মামলার বিবাদী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ব্লমবেরি রিসোর্ট করপোরেশন গতকাল সোমবার ফিলিপাইনের পুঁজিবাজারে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ক্যাসিনো পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ব্লমবেরি রিসোর্ট অ্যান্ড হোটেলস ইনকরপোরেশনের মালিক। এদিকে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মামলা খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের উদ্বৃতি দিয়ে বলেছে, জনস্বার্থের দিকগুলি বিবেচনায় নিউইয়র্ক-ই এ মামলা পরিচালনার জন্য যথাযথ ফোরাম। এজন্য এবার যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট (এসডিএনওয়াই) এর পরিবর্তে নিউইয়র্ক স্টেট আদালতে মামলা দায়ের করার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্য দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি আদায়ের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি মামলাটি করেছিল। এতে ব্লমবেরি ছাড়াও রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনসহ (আরসিবিসি) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়।
ব্লমবেরি রিসোর্ট করপোরেশন ফিলিপাইনের শেয়ারবাজারে দেওয়া ঘোষণায় গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট আদালতের দেওয়া মতামত ও রায় উদ্ধৃত করে বলেছে, বাদীপক্ষ সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি আদালত আর মামলাটি শুনবেন না বলেও ঘোষণায় উল্লেখ করে ব্লমবেরি।
এ খবর জানিয়েছে সিএনএন ফিলিপাইন ও দেশটির ‘ইনকোয়েরার’ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার অজ্ঞাতনামা হ্যাকাররা হাতিয়ে নেন। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরির সঙ্গে ফিলিপাইনের রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও এর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা জড়িত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলার পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, মামলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিযোগে বলা হয়, রিজাল ব্যাংকের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা এই অর্থ চুরির জন্য কয়েক বছর ধরে ‘বড় ধরনের’ ‘জটিল ষড়যন্ত্র’ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করেছিল, অজ্ঞাতনামা উত্তর কোরীয় হ্যাকাররা এই চুরিতে সহায়তা করেছেন। অর্থ চুরির পর তা নিউইয়র্ক সিটি ও ফিলিপিন্সে আরসিবিসির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। পরে এই অর্থের বেশির ভাগ ফিলিপাইনের ক্যাসিনোর মাধ্যমে পাচার হয়ে যায়।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অর্থ চুরির ঘটনা ঘটলেও তা প্রকাশ পায় মার্চে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে পদত্যাগ করতে হয়। দুই ডেপুটি গভর্নরকেও সরিয়ে দেয় সরকার। ঘটনা তদন্তে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে কমিটি করে সরকার। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও তা প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি), সোলায়ার রিসোর্ট ও ক্যাসিনো, মাইডাস রিসোর্ট ও ক্যাসিনো এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়েরকৃত মামলার বিপরীতে বিবাদীদের করা আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট খারিজ করেছে। আদালতের আদেশে উল্লেখ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ চুরি নিউইয়র্কে অবস্থিত মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক হতে হয়েছিল এবং সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত যে, জালিয়াতির মাধ্যমে পেমেন্ট অর্ডার, বিভিন্ন করেসপন্ডেন্ট অ্যাকাউন্টে চুরিকৃত অর্থের লেনদেন এবং এসকল অ্যাকাউন্ট হতে দেশের বাইরে অর্থ প্রেরণ-সবই নিউ ইয়র্ক এ সংঘটিত হয়েছে। জনস্বার্থের দিকগুলি বিবেচনায় নিউইয়র্ক-ই এ মামলা পরিচালনার জন্য যথাযথ ফোরাম যেখানে ডিস্ট্রিক্টের একটি ফেডারেল প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আরসিবিসি, সোলায়ার, মাইডাস এবং অন্যান্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, চুরি, রূপান্তরের ষড়যন্ত্র এবং অন্যান্য অভিযোগগুলির বিষয়ে সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট (এসডিএনওয়াই) এর পরিবর্তে নিউইয়র্ক স্টেট আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে। এক্ষেত্রে মামলাটি নিউইয়র্ক এর আদালতের বিচারিক এখতিয়ারভুক্ত প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক আরসিবিসি এবং অন্যান্য বিবাদীদের থেকে ক্ষয়ক্ষতি আদায়ের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।