Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে কোন মানুষ না খেয়ে মরবে না -দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : ‘কুড়িগ্রামের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে কেউ না থাকলেও বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার আছে এবং থাকবে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। কোন মানুষ না খেয়ে মরবে না।’ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, মহাপরিচালক রিয়াজ আহম্মেদ, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মোহসীন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ্ প্রমুখ।
মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি কুড়িগ্রামসহ বন্যা দুর্গত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ ২১টি জেলা পর্যায়ক্রমে সফর করছেন। কারণ পূর্ব প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। কোথায় কখন কী লাগবে তা জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নেয়া হবে পূর্ব প্রস্তুতি। যাতে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি সহায়তা দুর্গত মানুষের হাতে পৌঁছানো যায়।
কুড়িগ্রাম অত্যন্ত ঝুঁকি পূর্ণ জেলা কারণ ভারত থেকে অধিকাংশ পানি এ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নদী দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এবং ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে তিন ধরণের ব্যবস্থা থাকবে। বন্যার আগে, বন্যার সময় এবং বন্যা পরবর্তী ব্যবস্থা। এসব মাথায় রেখে সরকার কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন প্রধান অতিথির কাছে বন্যা মোকাবেলায় কুড়িগ্রাম জেলার জন্য চার মাসের প্রস্তুতির চাহিদার কথা তুলে ধরেন। এরমধ্যে খয়রাতি সহায়তার জন্য ১ হাজার মেট্রিক টন চাল, খয়রাতি সহায়তার জন্য নগদ ২৫ লাখ টাকা, ১ লাখ ২৩ হাজার ৫৯৪ পরিবারকে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২০ কেজি করে চাল সরবরাহ বাবদ (চার মাসে) ৯ হাজার ৮৮৭ দশমিক ৫২০ মেট্রিক টন চাল, নদী ভাঙ্গনের শিকার মানুষের জন্য দেড় হাজার বান্ডিল ঢেউটিন এবং প্রতি বান্ডিল টিনের বিপরীতে ৩ হাজার টাকা হিসাবে ৪৫ লাখ টাকা সহায়তা প্রদানের দাবি জানান। এছাড়া দুর্গত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্পিড বোট সরবরাহের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে চর, দ্বীপচর এবং নিম্নাঞ্চলে মাটি কেটে উঁচু কেল্লা তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। যা মুজিব কেল্লা নামে পরিচিত হবে। এসব মাটির কেল্লায় বন্যা দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
প্রধান অতিথি মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এর আগে সকাল সোয়া ১১টায় মন্ত্রী কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডলের সভাপতিত্বে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দলীয় নেতাকর্মীদের বন্যার্তদের পাশে থাকার আহবান জানান। একই সঙ্গে জঙ্গি ও সন্ত্রাস-নৈরাজ্য দমনে জনগণকে সচেতন করে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন। তিনি দাবি করেন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সরকার সফলভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হলেও সফলতার বার্তা সাধারণ মানুষ জানে না। উন্নয়নের অগ্রগতি মানুষকে জানানোর দায়িত্ব আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীর।
অনিবার্য কারণ বশত মন্ত্রী চিলমারী উপজেলায় বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম কর্মসূচি স্থগিত করেন। দুপুরে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে তিনি সড়ক পথে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। মঙ্গলবার তিনি সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। রংপুরে রাত্রিযাপন শেষে বুধবার সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম এসে পৌঁছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ