পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৭ সালের এই দিনে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে তাকে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলা লস্করদিয়া গ্রামে সমাহিত করা হয়। মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া ফরিদপুরে স্থানীয়ভাবে কর্মসূচী পালন করা হবে।
১৯৪০ সালের ৫ মে ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত নগরকান্দা থানাধীন লস্করদিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন কে এম ওবায়দুর রহমান। তার পিতার নাম মরহুম খন্দকার আতিকুর রহমান এবং মাতা নাম রাবেয়া বেগম। স্থানীয় প্রাইমারি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করে নগরকান্দা হাইস্কুল থেকে তিনি মেট্রিক পাশ করে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হন। রাজেন্দ্র কলেজে তিনি ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন এবং ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় একবার তিনি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দু’বার ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২-৬৩ শিক্ষা বর্ষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকা বর্তমান নগরকান্দা, সালথা ও কৃষ্ণপুর থেকে এমপি নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় এমপি নির্বাচিত হয়ে তৎকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পর ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টে যোগদান ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি গঠন করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেন পরে তৎকালিন সরকারের মৎস্য ও পশু পালন মন্ত্রণালয় সহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মোট পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি বিএনপির মহাসচিব নিযুক্ত হন এবং মৃত্যুর আগেরদিন পর্যন্ত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার একমাত্র কন্যা শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। বর্তমানে তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।
মির্জা ফখরুলের বাণী: কে এম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমান একজন গণসম্পৃক্ত জাতীয় নেতা হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত ছিলেন। যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে জাতীয় রাজনৈতিক জীবনে স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র তথা সকল আন্দোলন সংগ্রামে সোচ্চার থেকে তিনি আজীবন দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন। স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে কে এম ওবায়দুর রহমান ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বলিষ্ঠ ভ‚মিকা রেখেছেন। তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ অনুসারী। স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করে তিনি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। তার অনুসৃত পথ বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। কে এম ওবায়দুর রহমানের অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
কর্মসূচী: আজ শনিবার সকাল নয়টায় স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ.মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ মরহুমের মাজার জিয়ারত করবেন। সারাদিন কুরআন তেলাওয়াত এবং বাদ আসর দোয়া ও মিলাদ মাহ্ফিল এবং আগামী মাসে ঢাকায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।