পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রতিদিন বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ
ভবিষ্যতের ক্রয়াদেশ নিয়েও শঙ্কা
নিয়ন্ত্রণহীন করোনাভাইরাসের কারণে টালমাটাল জনস্বাস্থ্য ও বিশ্ব অর্থনীতি। বিপর্যস্ত বাংলাদেশের পোশাক খাতও। কোনো রকম সমঝোতা ছাড়াই আকস্মিক সিদ্ধান্তে তৈরি পোশাকের কার্যাদেশ বাতিল করছেন ক্রেতারা। এদিকে শুধু চলমান ক্রয়াদেশই বাতিল করছে তা নয়; তারা বাতিল করছে ভবিষ্যতের ক্রয়াদেশও। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় ভালো মানের গার্মেন্টস বাদে নিরাপত্তা সক্ষমতার তুলনায় খুবই কম। উন্নত কারখানায় করোনা সচেতনতকায় ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে, সচেতনতার কথা বলা হচ্ছে। স্যানিটাইজার ও সাবান রাখা আছে। তবে সাধারণ কারখানাগুলো করোনা মোকাবেলায় অনেকটা উদাসীন। বাড়তি কোন সতর্কতা নেই। প্রতিরোধ ব্যবস্থা তেমন নেই বললেই চলে। কোথাও শুধু মাস্ক আবার কোথাও শুধু সাবান রাখা হয়েছে। এমনকি শ্রমিকদের মধ্যেও সচেতনতার অভাব রয়েছে। কারখানার টয়লেটগুলোও আগের মতোই। দিনভর কাজ করতে গিয়ে কাজের মধ্যে নাক-মুখে হাত দিচ্ছেন। স্যানিটাইজার সঠিকভাবে করা হচ্ছে না।
পোশাক শিল্প মালিকদদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, প্রতিদিনই বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বদলাচ্ছে ক্রেতাদের সিদ্ধান্ত। আর তাই কাজের অভাবে যেন কারখানা বন্ধ না হয়, সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। আর ক্ষতির পরিমাণ ও ঝুঁকি মোকাবিলার সামর্থ্য বিবেচনায় সরকারকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মালিক-শ্রমিক বিবেচনা না করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় সরকারের এগিয়ে আসা দরকার। যেন বন্ধ না হয় শিল্পের চাকা। একই সঙ্গে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে শিল্প মালিকদের সতর্কতার সঙ্গে করণীয় ঠিক করার ওপর জোর দিচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় ব্যবসায়িক নৈতিকতার জায়গা থেকে ক্রেতাদের পাশে থাকার আহবান শিল্প মালিকদের। যেন বন্ধ না হয়ে যায় উৎপাদন। বিজেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম ইনকিলাবকে বলেন, প্রতি ঘন্টায় পোশাকের কার্যাদেশ বাতিল করছেন ক্রেতারা। বিজেএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ ইনকিলাবকে বলেন, কারখানাগুলোর ক্রয়াদেশ বাতিলের তথ্য আমাদের কাছে আসছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা) ১০০ কারখানার তথ্য এসেছে। এতে ১৪০ মিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিতের তথ্য এসেছে।
যদিও গতকাল ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আগামী জুন পর্যন্ত কোনও ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনও পরিবর্তন আনা যাবে না। অর্থাৎ চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতাকে ঋণ খেলাপি না করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে রপ্তানির অর্থ প্রত্যাবাসন এবং আমদানি পণ্য দেশে আনার সময়সীমা চার মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করা হচ্ছে। এছাড়া স্বল্পমেয়াদি সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিট এবং রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ পরিশোধের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বের অর্থনীতি ক্ষতির মুখে। বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, করোনার প্রভাবে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; সেটার দিক বিবেচনা রেখে তাদের সুযোগ-সুবিধা দেখে সরকারকে সাহায্য দিতে হবে।
সূত্র মতে, চীনে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। গতকাল পর্যন্ত ভাইরাসটি ১৫৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটির কারণে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। জার্মানিও ধুঁকছে। দেশগুলোতে নিত্যপণ্য ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন না। অনেক পোশাকের ব্র্যান্ড তাদের শত শত বিক্রয়কেন্দ্র ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রেখেছে।
করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো বাংলাদেশি পোশাকের বড় বাজার। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে ৬১ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ২ হাজার ১১৩ কোটি ডলারের পোশাকের গন্তব্য ছিল ইইউভুক্ত দেশ। আর যুক্তরাষ্ট্রে গেছে ৬১৩ কোটি ডলারের পোশাক।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমই’র প্রথম সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আলী ইনকিলাবকে বলেন, করোনার প্রভাবে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে গার্মেন্ট শিল্পে। সামনে হয়তো আমরা সঙ্কটের মুখে পড়ার আভাস পাচ্ছি। তবে যতক্ষণ হাতের কাজ আছে, ক্রয়াদেশ বাতিল হয়নি সেই কাজ করা হবে। একই সঙ্গে গার্মেন্টস বন্ধ করলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পোশাকের কার্যাদেশ বাতিল প্রসঙ্গে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইউরোপের ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আজকে
(বৃহষ্পতিবার) পর্যন্ত আমাদের সদস্য কারখানার ১৫২ মিলিয়ন ডলারের কার্যাদেশ বাতিল করেছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বরেন, এটা কোথায় গিয়ে দাড়াবে বলা যাচ্ছেনা। গার্মেন্টসে করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সচেতনতায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি কারখানায় স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের ২০ লাখ ডলার সমমূল্যের ৪টি ক্রয়াদেশ স্থগিত করেছে ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন গত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ক্রেতারা একের পর এক ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল করছে। নতুন ক্রয়াদেশ দিচ্ছে না। অবস্থা যে পর্যায়ে যাচ্ছে, তাতে বড় কারখানায় দুই মাস পর কোনো কাজ থাকবে না। ছোট ও মাঝারি কারখানা তার আগেই বসে যাবে।
মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, এইচঅ্যান্ডএম, সিঅ্যান্ডএ, এমঅ্যান্ডএসের মতো বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চলমান ক্রয়াদেশ বাতিল করছে না। তারা বাতিল করছে ভবিষ্যতের ক্রয়াদেশ। তবে ছোট ছোট অনেক প্রতিষ্ঠান চলমান ক্রয়াদেশ বাতিল করে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে ইউরোপের ক্রেতারাই মূলত ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল করছে। তবে যে কোন সময় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা সেই পথে হাঁটতে পারেন।
সূত্র মতে, করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশের পরিমাণ প্রতিদিনই বাড়ছে। করোনার কারণে কোনো রকম সমঝোতা ছাড়াই আকস্মিক সিদ্ধান্তে তৈরি পোশাকের কার্যাদেশ বাতিল করছেন ক্রেতারা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বদলাচ্ছে ক্রেতাদের সিদ্ধান্ত। গত বুধবারে ১২ ঘণ্টায় বাতিল ও স্থগিত হয়েছে ১০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের বা ৮৭৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার কার্যাদেশ। পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা বলছেন, একের পর এক চলমান ক্রয়াদেশ স্থগিত করছে ক্রেতারা। বাতিলের সংখ্যাও বাড়ছে। নতুন ক্রয়াদেশও আসছে না। এমনটা চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজেদের সদস্যের কাছ থেকে ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশের তথ্য নিচ্ছে পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। গতকাল বৃহষ্পতিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজিএমইএ’র সভা চলছিল। সভা শেষে সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০০ কারখানার তথ্য এসেছে। এতে ১৪০ মিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিতের তথ্য এসেছে।
পোশাক শিল্প মালিকদদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমই’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, প্রতিনিয়ত চিত্র বদলে যাচ্ছে। আমরা কোনোমতে ফ্যাক্টরি বন্ধ করার পক্ষে না। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে বাজার থাকবে। কাজেই আমাদেরও একটু শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। সেই সঙ্গে একটু হিসাব রাখতে হবে। কোন ক্রেতা কেমন ক্যানসেল করছে। তারাই সব সময় আমাদের মার্ক দেবে। আমরাও তাদের মার্ক দেব।
ড. রুবানা হক বলেন, একটা বৈশ্বিক বিপর্যয় ঘটছে। এ সময়ে এসে তারা (ক্রেতারা) শুধু তাদের ব্যবসার কথা ভাববেন আর মানুষের কথা ভুলে যাবেন, এটা তো হয় না। তাদের বাস্তবতা আর আমাদের বাস্তবতা ভিন্ন। তাদের ক্ষেত্রে এটি মুনাফার, আর আমাদের হলো বাঁচার বাস্তবতা। আমরা এখন কোথায় দাঁড়াব। আমাদের এত কর্মী, সামনে ঈদ আছে, বোনাস আছে।
এভাবে ক্রয়াদেশ বাতিল হতে থাকলে সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে রুবানা হক বলেন, ক্রেতারা যখন বলেন, আপনারা কাপড় কাটবেন না, ওই কাপড়ের তখন আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকল না। এ কাপড় কবে নেবেন, কিছুই জানি না আমরা। এসব কাপড়ের বিপরীতে ক্রয়াদেশ দেয়ার কথা এপ্রিল-মে মাসে। কিন্তু ক্রেতারা এখন কোনো ক্রয়াদেশ দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ভেবে দেখতে হবে। তারা ভাববেন তারা কী করবেন, এদিকে আমাদের বলছেন আমাদের ওয়্যারহাউজে রাখতে।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল বলেন, আমরা ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিলের যতটুকু তথ্য পাচ্ছি, বাস্তব পরিস্থিতি তার থেকেও ভয়াবহ। গ্রীষ্ম মৌসুমে ব্র্যান্ডগুলো বড় ব্যবসা করে থাকে। তার আগ মুহুর্তে করোনা আঘাত হেনেছে। ইউরোপে এইচঅ্যান্ডএমের ৬২ শতাংশ বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ। ফলে সামনে আমাদের জন্য কী আছে, বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, সরকারের উচিত সবার আগে মানুষকে বাঁচানো। তারপর দেশের শিল্পকে বাঁচাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
এদিকে শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের আন্তর্জাতিক জোট ক্লিন ক্লথ ক্যাম্পেইন (সিসিসি) পোশাকশ্রমিকের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব সীমিত পর্যায়ে রাখতে ক্রেতাদের জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সিসিসি বলেছে, করোনার কারণে বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ ও চাহিদা কমে যাওয়ায় ক্রেতারা ক্রয়াদেশ হ্রাস করতে থাকলে অনেক কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ হতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে শ্রমিকের মজুরি নিয়মিত পরিশোধের বিষয়টি ক্রেতাদের নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত কিংবা লক্ষণ দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে সবেতনে ছুটি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে বিজেএমইএ’র সদস্যভুক্ত সচল প্রায় ৪ হাজার পোশাক কারখানা রয়েছে। এছাড়াও আরও ছোট-বড় কয়েক হাজার পোশাক কারখানায় প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। সরেজমিনে একাধিক গার্মেন্টস কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, নি¤œ আয়ের এ সব শ্রমিকরা দিনভর কাজ করতে গিয়ে হাত না ধুয়েই কাজের মধ্যে নাক-মুখে হাত দিচ্ছেন। অনেকে শুধু মাস্ক পড়ছেন। স্যানিটাইজার সঠিকভাবে করছেন না। তাই এসব শ্রমিকরা করোনার ঝুঁকিতে থাকছেন সবসময়। এছাড়া অনেক কারখানার টয়লেটগুলোও আগের মতোই। নেই স্যানিটাইজার। যদিও কিছু কিছু কারখানায় করোনা মেকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। করোনা সচেতনতায় ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে, স্যানিটাইজার ও সাবান রাখা আছে। তবে সাধারণ কারখানাগুলো এ বিষয়ে কিছুটা উদাসীন। তাদের বাড়তি কোন সতর্কতা নেই। প্রতিরোধ ব্যবস্থা তেমন নেই বললেই চলে। কোথাও শুধু মাস্ক আবার কোথাও শুধু সাবান রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।