পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বব্যাপী মহামারির আকার নেওয়া করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) মোকাবিলায় সমন্বিত কর্মসূচি ঠিক করতে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন সার্কভুক্ত আট শীর্ষ নেতা। এতে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে নিজের প্রস্তাবনায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। গত শুক্রবার এ কনফারেন্সের আহ্বান জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবে রাজাপাকসে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রথমে ধন্যবাদ জানান। চীনের উহান থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ২৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারতে নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় ও নাগরিকদের রক্ষা করতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশের সমুদ্র-স্থল-বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে তিনজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তিনটিই বিদেশ থেকে আসা রোগী। তারা ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। নতুন করে আরও দু’জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ দু’টিও বিদেশ থেকে আসা কেস। স্থানীয়ভাবে এখনো কেউ সংক্রমিত হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জনগণকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আমরা একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছি। সতর্কতা বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি। যেখানে প্রয়োজন হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে।
‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালসহ নতুন নির্মিত চারটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য রাজশাহীতেও একটি হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। সব জেলার সব হাসপাতালে এ রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের জন্য কয়েকটি খালি ভবন নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। এছাড়া, আমরা উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। স্কুলের শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে আইসোলেশন গাউন, মাস্ক, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার এবং কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র মজুদ করা আছে।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভবিষ্যৎ যে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠা করা খুব জরুরি বলে মত দেন শেখ হাসিনা। সবাই সম্মত হলে বাংলাদেশ এ পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী-স্বাস্থ্য উপদেষ্টারা এ অঞ্চলে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় করণীয় কী হতে পারে এবং তাদের নিজ নিজ দেশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে কথা বলছেন।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সদস্য দেশগুলোর জন্য কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, এই তহবিলের ব্যবহারের জন্য আমাদের দূতাবাসগুলো সমন্বয় করে কাজ করতে পারে। ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন, পরীক্ষা সামগ্রী এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করছি। তারা সব সময় প্রস্তুত থাকবেন; আপনাদের প্রয়োজন হলে ভারত থেকে তাদের পাঠানো হবে।
মোদি বলেন, আমাদের একটি সাধারণ গবেষণা প্লাটফর্মও গঠন করার বিষয়ে ভাবা উচিত। এ ধরণের কাজের সমন্বয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ সহায়তা করতে পারে। এছাড়া অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদে প্রভাবের বিষয়েও বিশেষজ্ঞরা আমাদের সহায়তা করতে পারেন। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে সদস্য দেশগুলোকে সমন্বয় করে কাজের তাগিদ দিয়ে মোদি বলেন, এই মহামারি প্রথম নয়; এমনকি শেষও নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।