Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে গেলে বোর্ড থেকে প্রশ্ন করা হয়, বর্তমানে যে চাকরী করছি সেখানে কত বেতন পাচ্ছি। তখন আমার এক বন্ধু মিথ্যে বলে পাওয়া বেতন থেকে কিছু বাড়িয়ে বলে। কারণ, বর্তমান বেতনের ওপর ভিত্তি করে ওখানে বেতন ফিক্সড করা হয় বা কিছু বাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রশ্ন হলো, চাকুরী হওয়ার পর যদি অর্পিত দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে থাকে, তাহলে তার ওই মিথ্যে বলার কারণে কি বেতন নেওয়া হারাম হবে?

সাইফুল ইসলাম
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২০, ৭:১০ পিএম

উত্তর : বেতন নেওয়া হারাম হবে না। এখানে কেবল মিথ্যা বলার গুনাহটুকু হবে। অবশ্য নিজের পাওনাটুকু না পাওয়ার আশংকা থাকলে, এভাবে কিছু বাড়িয়ে বলা কট্টর মিথ্যার মধ্যে পড়ে না। এখানে সত্য বললে, টাকা কম দেওয়া হবে। অথচ একই যোগ্যতা নিয়ে কিছু বাড়িয়ে বললে, নিয়োগদাতারা বেতন বেশি দিবে। এমন যখন নিয়ম, তখন সত্য বলে ঠকার মধ্যে সবাই শক্ত থাকতে পারে না। এমন প্রয়োজনে বাড়িয়ে বলা যায়। মনে মনে নিয়ত করবে, আমাকে দেওয়া হয় কম, তবে, আমার পাওয়া উচিত যা আমি বলছি তা। তাহলে কট্টর মিথ্যার গুনাহ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যে সমাজে সত্য বলার মূল্য নেই, সেখানেই মানুষকে এ ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। 
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইন্টারভিউ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ