পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোনও অবৈধ সংযোগ নেই-প্রতিটি গ্যাস বিতরণ কোম্পানিকে এমন ঘোষণা দিতে ফের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি বিভাগ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির আগে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে প্রথম দফা এমন নির্দেশ দিয়েছিল। সেসময় একটি কোম্পানি ছাড়া কোনও কোম্পানি অবৈধ সংযোগ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারেনি। এ দফায় জ্বালানি বিভাগ বলছে, ১৭ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া মুজিববর্ষে সব কোম্পানিকে অবৈধ সংযোগ মুক্ত ঘোষণা করতে হবে।
২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট থেকে দেশে এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়। ওই বছর শুরুর দিকে জ্বালানি বিভাগ সব বিতরণ কোম্পানিকে অবৈধ সংযোগ মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল।
গ্যাস বিতরণ কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অবৈধ গ্রাহকমুক্ত করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। এছাড়া কোনোভাবেই অবৈধ সংযোগ মুক্ত করা সম্ভব নয়। কর্মকর্তারা বলছেন, নানা সময়ে অবৈধ সংযোগ থেকে মুক্ত করতে গিয়ে আমাদের লোকজন হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। এভাবে সংযোগ তুলে দেওয়ার পরও দেখা গেছে আবার সংযোগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক সময়ই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে এসব কাজ প্রকাশ্যে হলেও কেউ ভয়ে মুখ খুলেছে না।
তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, গত নির্বাচনের আগে এলএনজি আসার কথা বলে আমাদেরকে বলা হয়েছিল যেকোনও পন্থায় অবৈধ সংযোগ তুলে দিতে। কিন্তু আমরা যখন মাঠে কাজ করতে গেলাম তখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হবে এমন চিন্তা করে আমাদের নিষেধ করা হয়েছিল। এরপর আর সেভোবে মাঠে নামা হয়নি।
বিতরণ কোম্পানির সূত্র বলছে, হাজার হাজার আবাসিক সংযোগে যেমন গ্যাস প্রয়োজন হয় তেমনি একটি শিল্পে তার কয়েকগুণ বেশি গ্যাস ব্যবহার হয়। কিন্তু শিল্পে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের খবর জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। বা ব্যবস্থা নিতে গেলে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
জ্বালানি বিভাগে স¤প্রতি অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভার কার্যবিরণীতে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁও, ভুলতা, আড়াইহাজার এলাকার শিপ কারখানায় অবৈধ সংযোগ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিয়ে বিচ্ছিন্ন করার অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সেই সংযোগ যাতে আবার যুক্ত করা না যায় সেজন্য বিচ্ছিন্নকৃত অবৈধ গ্যাস সংযোগ নজরদারিতে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়। জ্বালানি বিভাগের সচিব আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সব বিতরণ কোম্পানির প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায়, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ২০১৯ সালের ফেব্রæয়ারিতে নিজেদের অবৈধ গ্যাস সংযোগমুক্ত কোম্পানি হিসেবে ঘোষণা দেয়। এছাড়া অন্য কোম্পানিগুলোতে দ্রæত এই ঘোষণা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
দেশের সবচেয়ে বেশি গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানি হচ্ছে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আল মামুন বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস। ফলে এলাকার পরিধিও অনেক বড়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখছি অসংখ্য অবৈধ সংযোগ রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনিই আমাদের টিম অভিযানে নামছে কিন্তু শেষ করাই যাচ্ছে না। তিনি বলেন, মুজিববর্ষের মধ্যে আমরা অবৈধ সংযোগমুক্ত বিতরণ কোম্পানি হিসেবে নিজেদের আসলেই ঘোষণা দিতে পারবো বলে মনে হয় না। তবে কমিয়ে আনার কথা জানাতে পারবো।
প্রসঙ্গত, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় গ্যাস বিতরণ কোম্পাতি তিতাসে সব থেকে বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে। এরপরই দেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস বিতরণ কোম্পানি কর্ণফুলীতেও অবৈধ সংযোগ রয়েছে। দু’টি কোম্পানিই নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।