পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণ ১৭ মার্চ রাত ৮টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে মুজিববর্ষের উৎসব। টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই অনুষ্ঠান সরাসরি স¤প্রচারের মাধ্যমে সারাদেশ ও বিশ্বের মানুষের কাছে উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া জনসমাগম পরিহার করে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে দেশের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠান শেষে এ তথ্য জানান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
প্রধান সমন্বয়ক বলেন, রাত ৮টা থেকে ২ ঘণ্টা অনুষ্ঠান চলবে। পুনর্বিন্যস্ত অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ কয়েকটি জায়গা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠান আয়োজনের পর থাকবে আতশবাজি ও তোপধ্বনি।
প্রধান সমন্বয়ক বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা অনুষ্ঠান করবো। আমরা সেটা সরাসরি স¤প্রচার করবো। দেশের মানুষ যে যে অবস্থানে থাকবেন সেখান থেকে অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত হতে পারবেন। তবে যেহেতু আমরা একটা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি সে কারণে জনসমাবেশ পরিহার করে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান করা হবে। মুজিববর্ষ আয়োজন একটি উৎসব, এই উৎসবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উৎসব হলেও জনস্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এর আগে বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দেশের সব জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের মুজিববর্ষে করণীয়গুলো ব্যাখ্যা করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদেরও জনসমাবেশ পরিহার করে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান উদযাপন করার নির্দেশ দেন ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান সমন্বয়ক জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন, জনসমাগম পরিহার করে বছরব্যাপী জনকল্যাণে মুজিববর্ষ পালনের কর্মসূচি হাতে নেবেন।
ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল গাফফার খান জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ থেকে ২৫ মার্চ ও ২৬ মার্চ দেওয়া নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী অনুষ্ঠান করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা সমাবেশ করবেন না, তাদের ফুল ও উপহার দেওয়া হবে। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থা নেবেন।
ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকরা সীমিত আকারে অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানান প্রধান সমন্বয়ককে। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক জানান, জেলার ৪ হাজার ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হবে। মাদকসেবীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে।
মুজিববর্ষে সব জেলা প্রশাসককে প্রবেশন আইন কার্যকরের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রথম লঘু অপরাধে কোনও শিশুর যেন শাস্তি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। কারাগারে কোনও শিশু থাকলে নিশ্চিত হওয়ার পর প্রবেশন আইনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।