পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস নিয়েও ক্ষমতাসীন সরকার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। সারা বিশ্ব এখন করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে করোনাকে মহামারী ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ভাইরাস প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু সরকার এটাকে গুরুত্ব দেয়নি। অবহেলা করেছে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। বিমানবন্দরে ভাইরাস সনাক্ত করতে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে খবর বেরিয়েছে। অথচ সরকার বলে তারা এই করছে সেই করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত মুক্ত হোক গণতন্ত্র, নিশ্চিত হোক সুস্বাস্থ এই স্লােগানে “করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশ পরিস্থিতি” শীর্ষক বৈজ্ঞানিক কর্মশালা ও সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সত্যিকার অর্থে বিমানবন্দরে ভাইরাস সনাক্ত করতে কোনো থার্মাল স্ক্যান মেশিন নেই। নৌবন্দর, স্থল বন্দর তো রয়েই গেছে। আর সরকার বলছে সবধরনের ব্যবস্থা আছে। আসলে তারা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করছে। কোনো হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। এর থেকে বিশ্বাসঘাতকতা আর কী হতে পারে? তিনি বলেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে যদি করোনা ছড়াতে পারে তো বাংলাদেশ কি এর বাইরে যাবে? বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। সুতরাং সরকার শুধু লিপ সার্ভিস দিচ্ছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। গণতন্ত্রের স্বার্থে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে ড. মোশাররফ বলেন, আজকে সরকারের ইঙ্গিতেই খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না। একই কারণে বেগম জিয়ার সঠিক স্বাস্থ্য প্রতিবেদন আদালতে যায় না।
লিখিত বক্তব্যে ড্যাবের মহাসচিব আবদুস সালাম বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উত্তরােত্তর বেড়েই চলেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই ভয়াবহ ভাইরাসের আক্রমণ মােকাবিলায় সামান্য কিছু আশ্বাস ছাড়া কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ দৃষ্টিগোচর হয়নি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা: একেএম আমিনুল হক, উপস্থিত ছিলেন- ডাঃ মোঃ আবদুস সেলিম, ডাঃ শাকিল, ডাঃ শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডাঃ সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, ডাঃ ফখরুজ্জামান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।