পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের কারণে বড় ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আইন ২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনে ভার্চুয়াল জাদুঘর করার বিষয়টিও যুক্ত করা হয়েছে। এতে ২৫টি ধারা রয়েছে।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানের তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। স¤প্রতি ইতালি থেকে দেশে আসা দু’জনের মাধ্যমে তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর সরকার প্রধানের কাছ থেকে এ নির্দেশনা এলো। করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জেনারেল যে ইনস্ট্রাকশন সেটা হলো অযথা বড় ধরনের জন সমাগম গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যে কারণে রিসিডিউল করতে হচ্ছে অনেক প্রোগ্রাম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক সমাগম হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীও ছিলেন, ওনাকেও ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে যে কোনো ভাবেই বড় ধরনের জনসমাগম না হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যাতে কোনোভাবে আর স্প্রেড করতে না পারে সরকার সে দিকে খুব সতর্ক নজর দিচ্ছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, না, সে রকম পরিস্থিতি হয়নি। আমার আবেদন এরকমভাবে আতঙ্ক ছড়ানোর কোনো যুক্তি বা ভিত্তি নেই।
করোনাভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষের কর্মসূচির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রোববার যৌথ কমিটির অনেক লম্বা মিটিং হয়েছে। সেখানে বাস্তবায়ন কমিটিকে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বিস্তারিত তারা বলে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী কী নির্দেশনা দিয়েছেন এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, নির্দেশনা- প্রটোকল অনুযায়ী ব্যবস্থা হয়েছে, কোয়ারেন্টানের ব্যবস্থা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। শুধুমাত্র যে নির্দেশনা সেটা হচ্ছে যতোটা সম্ভব আমরা বড় ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলবো, সেটা নির্দেশনা।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৩ জনের সংস্পর্শে এসেছে এমন ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, করোনাভাইরাস যখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষত চীনে হয়েছে তথন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আমরা গ্লোবাল সোসাইটিতে আছি। চীন বা অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের কারণে প্রথম থেকেই প্রস্তুতি আছে। তিনি বলেন, সবসময়ই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকে, অ্যাড্রেস করে কী করতে করতে হবে সেসব বিষয়ে নিদের্শনা নিয়ে থাকেন। চীন থেকে যখন ছাত্রদের নিয়ে আসা হলো তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই তাদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছিলাম।
সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো- এটা যেহেতু একটা ছোঁয়াছে রোগ এবং ছড়ায়, আমাদের কর্মকৌশল তিন পর্যায়ে। যাতে দেশে না আসে, যদি আসে তাহলে কীভাবে ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল করবো যে একজন থেকে আরেকজনে না ছড়ায় সে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তৃতীয় পদক্ষেপ হলো যদি কিনা প্রাদুর্ভাব হয় সেটা কীভাবে ম্যানেজ করবো। সবসময়ই আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ও তার অনুযায়ী করে থাকি। পাবলিক হেলথ পার্ট আমাদের দেশে খুবই শক্তিশালী অন্যান্য বিষয়ের তুলনায়। উনি বলেছেন যে এখন আমাদের কী করতে হবে, আপনাদের কাছে যে অনুরোধটা আমাদের মাধ্যমে উনার- সেটা হলো যে আমরা যেন আতঙ্কিত না হই। কারণ এটা একটা ভাইরাস।
আসাদুল ইসলাম বলেন, এটা নিয়ে আমাদের আকঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পৃথিবীর যে সব দেশে এ ঘটনা ঘটেছে তারা ম্যানেজ করছে। আমরা মিডিয়া থেকে জানতে পারছি এতো লোক আক্রান্ত হয়েছে, এতো লোক মারা গেছে। কিন্তু যেটা কম শুনেছি সেটা হলো কতো লোক সুস্থ হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।