Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রস্তুত বাংলাদেশ

বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্ক

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:৩৯ এএম

২৪ ঘণ্টায় ১০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি : আইইডিসিআর
এখনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি, সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের চিকিৎসাই বিশ্বব্যাপী দেয়া হচ্ছে : ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

প্রতিদিনই বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) আতঙ্ক বাড়ছে। ভাইরাসটির প্রতিষেধক হিসেবে এখনো স্বীকৃত কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় এর প্রতিরোধ সম্ভব হচ্ছে না। আর সে কারণেই ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। চীনের উহান প্রদেশ থেকে গত বছরের শেষ দিকে এই ভাইরাসটির আবির্ভাব। তবে বিশ্বায়নের যুগে চীনে প্রকোপ কমলেও এই অল্প সময়েই পৃথিবীর প্রায় ৭৭টি দেশে এ সংক্রান্ত রোগীর দেখা মিলেছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এ ভাইরাসটি। কিন্তু সবচেয়ে বড় হুমকিটি রয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য। কারণ বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশেরও বেশি লোকের বাস এই উপমহাদেশে। যার প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষ আছে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে। জনবহুল দেশ হওয়ায় এই তিন প্রতিবেশি রাষ্ট্রের উপরই হুমকিটা প্রকট। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্রমণকারীদের স্ক্রিনিংয়ের পদক্ষেপ বাড়িয়েছে ভারত। ইতোমধ্যে দিল্লীতে সকল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নতুনভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়াতে দুর্বল চিকিৎসা অবকাঠামোগত কারণে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভারত ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর উহানকে অন্যান্য শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করাসহ চীন যেভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে সেটি নজিরবিহীন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপল বলেছেন, এই অঞ্চলের ১১টি দেশের মধ্যে পাঁচটি দেশে এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ মিলেছে। অন্য তিনটি দেশ হলো- নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের বাকি দেশগুলো এখনো করোনাভাইরাসমুক্ত রয়েছে। তবে এ দেশগুলোকে এ ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকতে হবে।

এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৩ হাজার ৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যোগ হয়েছেন দুই হাজার ২২৩ জন। মারা গেছেন ৩ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৬ জন। বাংলাদেশে এখনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তবে পার্শ্ববর্তী ভারতে গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯-এ। ভারতের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, করোনায় আক্রান্ত ভারতের প্রকৃত পরিমাণ আরও বড় হতে পারে। মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির পরিচালক অরুনকুমার জি বলেছেন, ভারতে আক্রান্তের যে প্রকৃত সংখ্যা সংস্থার কাছে আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তার আগে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে একজন বিদেশি পর্যটকের মাধ্যমেই প্রথম ভারতের করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। এছাড়া গত মঙ্গলবার ইতালি থেকে ভারতে ঘুরতে আসা ১৫ পর্যটকের দেহে করনোর সংক্রমণ পাওয়ায় বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ায় আশঙ্কা বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায় ঝুঁকিপূর্ণ ২৫ দেশের তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস স্ক্রিনিং পরীক্ষা পর্যাপ্ত নয়। এজন্য বাংলাদেশের সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণের যেসব ব্যবস্থা তা বাংলাদেশের জন্য সন্তোষজনক নয়। আর তাই বাংলাদেশ করোনার ঝুঁকিতে থাকায় এর চিকিৎসা ব্যবস্থা বা কিভাবে ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব এবং নিয়ন্ত্রণে কতটুকু প্রস্তুত বাংলাদেশ এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দেশের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) অভাব রয়েছে। পাশাপাশি আইসোলেশনের ব্যবস্থাও নেই। এছাড়া ইমাজেন্সী এ্যাম্বুলেন্স সমস্যা রয়েছে অধিকাংশ হাসপাতালের। তাই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বিপাকে পড়বে মানুষ। প্রতিরোধে আইইডিসিআর সচেতনতার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়। তাই কাশির সময়ে লালা যাতে অন্যের শরীরে না লাগে এবং সাবান পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধুতে হবে। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রস্তুতির বিষয়ে বলেছেন, দেশে এখনও কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। তবে আশপাশের দেশ ভারত-শ্রীলংকায় যেহেতু করোনাভাইরাস এসে গেছে। বাংলাদেশেও আসবে না, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। যে কোনো সময় দেশে রোগী শনাক্ত হতে পারে। এ রোগ মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর দুটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এছাড়া সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার্থে আইসিইউ বেডসহ পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা-উপজেলায় পৃথক কমিটি করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে তাদের সুচিকিৎসায় চিকিৎসক ও নার্সদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, একটি জাতীয় কমিটিসহ দেশব্যাপী তিনটি কমিটি বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। দেশে করোনাভাইরাস দেখা দিলেও জনগনকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, কোনো কারণে এই ভাইরাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়লেও তা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।

এদিকে নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল জাতীয় রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ভাইরাসটি নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ টি কল এসেছে। এর মধ্যে ১০৪টি কল কোভিড-১৯ সংক্রান্ত। আইইডিসিআরে সরাসরি সেবা নেয়ার জন্য এসেছেন ১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাদের কারও মধ্যে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

প্রফেসর ড. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, কোভিড-১৯ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত দেশের সংখ্যা চীনসহ ৭৭টি। চীনের বর্তমান পরিস্থিতি উন্নতির দিকে জানিয়ে তিনি বলেন, চীনের বাইরে প্রতিদিনি নতুন দেশ ও রোগীর সংখ্যা শনাক্ত হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত হটস্পট হিসেবে চীনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালি এবং জাপানের প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীনের বাইরে সর্বোচ্চ রোগী পাওয়া যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াতে। গতকাল বৃহষ্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে রোগী ছিল পাঁচ হাজার ৭৬৬ জন। ইতালিতে এক বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন, তার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইতালিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। তিনি এখনও হোম কোয়ারাইন্টানে আছেন।

প্রফেসর ডা. ফ্লোরা বলেন, সিঙ্গাপুরের পাঁচ রোগীর মধ্যে তিনজন বাড়ি ফিরেছেন, একজন স্থিতিশীল অবস্থাতেই আছেন, যে কোনও দিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন আর যিনি আইসিইউতে ছিলেন তিনি এখনও সেখানেই আছেন। প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, মোংলা বন্দরে একটি জাহাজে বেশ কয়েকজন যাত্রী আছেন, তাদের তিনজনের মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গে রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ইতোমধ্যেই তাদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া নেয়া হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করেই পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন। তবে সেটি এখনও বন্দরে এসে পৌঁছায়নি, বন্দর থেকে দূরে, গভীর সমুদ্রে রাখা হয়েছে, পুরো বিষয়টি ইনভেস্টিগেশন করে পুরো তথ্য জানাতে পারবো।

একই সঙ্গে নাম উল্লেখ না করে গণমাধ্যমে আসা চীনা রাষ্ট্রদূতের কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে দেখেছি, চীন থেকে আসাদেরকেই কেবল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে, কিন্তু সেটা সঠিক নয় আর এ তথ্য বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। হয়তো চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে ভুল তথ্য যেতে পারে, তিনি ভূলবশত বলতে পারেন। আমরা সেটা জানি না, তবে আমরা আমাদের দিক থেকে প্রকৃত তথ্য জানাবো।

ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২১ শে জানুয়ারি থেকে প্রথমে চীন থেকে আসা বিমানগুলোকে স্ক্রিনিং করা হচ্ছিল, যদিও সেখানে কেবলমাত্র চীনা নাগরিকরাই ছিলেন না, যে কেউ চীন থেকে এলেই তাদের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। পরবর্তীতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে যখন লোকাল ট্রান্সমিশন পাওয়া গেল তখন সমস্ত পোর্ট-স্থল বন্দর, সমুদ্র বন্দর এবং সব বিমানবন্দরসহসব যানবাহনের যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে চার লাখের বেশি যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতারও জন্য কাজ করা হচ্ছে। কেবল দুটি আচরণগত চর্চাতেই কোভিড-১৯ এর মতো মারাত্মক রোগকে প্রতিরোধ করতে পারে। সেগুলো হচ্ছে- কাশি শিষ্টাচার এবং সাবানপানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া। এছাড়া করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া এবং সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চারটি দেশের অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইরান ও ইতালির নাগরিকদের এখন থেকে ভিসা নিয়েই বাংলাদেশে আসতে হবে। স্কুল-কলেজেও কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র করার চিন্তা করছে আইইডিসিআর। এছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে এমন কোনো দেশে আপাতত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া না যেতে এবং সেসব দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে না আসার আহবান জানিয়েছেন। অপরদিকে করোনা প্রতিরোধে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রলালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখনও কোনও ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। এ রোগের আলাদা চিকিৎসা পদ্ধতিও বের হয়নি। সাধারণ সর্দি কাশি বা শ্বাসকষ্টে যে ধরণের চিকিৎসা দেয়া হয়। বিশ্বব্যাপী সেটাই দেয়া হচ্ছে। তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলেছেন তিনি।

এদিকে গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ ২৫টি দেশ করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের জন্য ৩ কাটি ৭০ লাখ ডলারের জরুরি তহবিল দেয়ার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউ), অন্যান্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং ইউএসএআইডির কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী অংশীদারদের পরিচালিত প্রকল্পের জন্য এ তহবিল দেয়া হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিশ্রুত ১০ কোটি ডলারের প্রথম কিস্তি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল গঠন করেছে বিশ্বব্যাংক। গত বুধবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ বৈশ্বিকভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া রোগটির স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এ তহবিল গঠন করা হয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে এই মহামারি মোকাবেলা এবং সম্ভব হলে বিরূপ প্রভাব হ্রাস করতে সহায়তার লক্ষে এই তহবিল গঠন করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মালপাস বলেছেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই রোগের একটি দ্রুত প্রতিরোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ওই দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আমরা কাজ করছি। আমরা যে ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছি তার মধ্যে রয়েছে জরুরি অর্থায়ন, নীতি পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা বলেন তিনি।



 

Show all comments
  • salman ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:৪০ এএম says : 0
    HASENA, SORKAR Mittha Bolsay
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ ফয়েজুর রহমান রাজন ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
    নে বাবা, এইবার নাকে তেল দিয়ে ঘুমা। আমাদের চিকিৎসার আর দরকার নাই সব ধরনের প্রস্তুতি আছে এতেই আমরা খুশি
    Total Reply(0) Reply
  • Masud ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
    চাপাবাজির একটা সীমা থাকা দরকার… বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো করোনায় নাজেহাল; আর তারা নাকি মোকাবিলা করার মত সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে
    Total Reply(0) Reply
  • Reahman Sajid ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
    এরা আসলে কিছু না বুঝেই বলতেছে , যা ইচ্ছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Amanullah Aman ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
    সাধারণ ডেঙ্গুর জন্য কি অবস্থা হয়েছিল দেশবাসী জানে চাপাবাজী না করে পূর্ণ প্রস্তুুতি গ্রহণ করুন
    Total Reply(0) Reply
  • Fakhrul Islam ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
    মুখের ভাষা শুনলে!!! লাগাম টেনে ধর। কিসের মোকাবেলা করবে, কি দিয়ে করবে? ইস্তিগফার পড়। ক্ষমা চাও আল্লাহর কাছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Hasan ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
    সব পদক্ষেপ নেওয়া আছে! কি কি পদক্ষেপ নেওয়া আছে তা সঠিক ভাবে বলতেছেনা । কারন পদক্ষেপের নামে লুটপাট চলছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Jobyer Al Masud ৬ মার্চ, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
    মাস্ক ই নিশ্চিত করতে পারস না "। আর সব ধরনের মোকাবেলা!!!! বমি আসতাছে কথা শুইনা।।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৬ মার্চ, ২০২০, ৯:২৮ এএম says : 0
    একমাত্র পথ আর মত ইসলাম। এই গজব সহ সকল গজব হইতে রক্ষা পাইতে হইলে ইসলাম অনুসরণ করুন। বেশি বেশি অযু করেন এবং পড়েন, লাহাওলা উয়ালা ক্বোয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিইল আযীম। ইনশাআল্লাহ। সকল সমস্যার সমাধান।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ