পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুৎ ও পানির বর্ধিতমূল্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বামজোটের নেতারা বলেছেন, লুটপাট ও দুর্নীতির বোঝা জনগণের ওপর চাপানো চলবে না। তারা বলেন, ভোটারবিহিন অবৈধ সরকার অবৈধ্য পন্থায় জনগণের পকেটের পয়সা বের করে নিচ্ছে। বিদ্যুৎ এবং পানির অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে নেতারা এ কথা বলেন।
বাম দলের নেতারা বলেন, বিইআরসি আয়োজিত গণশুনানীতে আমরা প্রমাণ করেছিলাম বিদ্যুতের দাম কমানো সম্ভব। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিতে না পারলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ দাম বাড়ানোর এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান।
বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী)-র মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল আলম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, পিডিবি ও ওয়াসা দুটোই রাষ্ট্রীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখন তা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দুটো প্রতিষ্ঠানই লাভজনক এবং তারা মুনাফা করছে। সকল নিয়মনীতি ভঙ্গ করে ঢাকা ওয়াসা গত ১২ বছরে ১৩ বার এবং পিডিবি গত ১০ বছরে ৮ বার মূল্য বৃদ্ধি করেছে। জনগণের ট্যাক্স ও করের টাকায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের দায়িত্ব জনগণকে সেবা দেওয়া, মুনাফা করা নয়। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিডিবি ও ওয়াসার এই মূল্য বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অনৈতিক। কিন্তু সেবা দেওয়ার পরিবর্তে তারা এখন মুনাফালোভী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধি শুধু সাধারণ আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলবে তা নয় কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জনগণ একদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংক আমানতে মুনাফার হার হ্রাস, শেয়ার বাজার ধস, বাড়ীভাড়া বৃদ্ধিতে হাসফাস করলে এর উপর বিদ্যুৎ পানির মুল্য বৃদ্ধি মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে আবির্ভূত হবে। নেতৃবৃন্দ সরকারের এই অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে তোপখানা রোডে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।