পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তর্জাতিক সবধরনের প্রতিযোগিতার উপযোগী হয়ে দেশের ছেলেমেয়েরা তৈরি হবে, সরকার সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। সরকার উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সবধরনের খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই খেলাধুলার মাধ্যমে আজকের ছেলেমেয়েরাই আগামী দিনে পৃথিবীতে একটা স্থান করে নিতে পারবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করতে যাচ্ছি ১৭ মার্চ থেকে। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আমরা ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই মুজিববর্ষ ঘোষণা দিয়েছি। এ সময়ে আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করব।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে সম্মান পেয়েছি। একটি রাষ্ট্র পেয়েছি। আমাদের পরিচয় পেয়েছি। ছোট জীবন থেকেই তিনি এদেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং ছাত্রজীবনে তিনিও কিন্তু একজন ফুটবলার ছিলেন। আমার দাদা তিনিও ফুটবল খেলতেন। আমার ভাইয়েরা ফুটবল খেলতেন। আমার নাতিপুতিরাও ফুটবল খেলে। বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভ‚মি। এই বাংলাদেশ গড়ে উঠবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের সবধরনের প্রতিযোগিতার উপযুক্ত। বাংলার প্রতিটি ছেলেমেয়েকে আমরা গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, আমাদের শিশু কিশোররা অত্যন্ত মেধাবী। আর সেই মেধা বিকাশের সুযোগ আমরা করে দিতে চাই। আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি থেকে আমাদের শিশুদের দূরে রেখে ধীরে ধীরে তাদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। লেখাপড়া শেখার পাশাপাশি ক্রীড়া সংস্কৃতি চর্চা, একান্তভাবে অপরিহার্য। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের সুপ্ত মেধা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে এবং তাদের মন অত্যন্ত উদার হয়। সব থেকে বড় কথা হলো, দেশের জন্য গৌঁরব নিয়ে আসে।
আজকে ক্রীড়াক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অগ্রগতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। স্বাধীনতার পর পর জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন ক্রীড়া ক্ষেত্রটাকে আরও প্রসারিত করতে এবং আমার ভাই শেখ কামাল-শেখ জামালসহ সবাই এই ক্রীড়ার সঙ্গে অত্যন্ত সস্পৃক্ত ছিল’ বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নিজেকে একজন স্পোর্টস ফ্যামিলির সদস্য হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আমাদের দেশটাকে এগিয়ে যেতে হবে। আর খেলাধুলার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি। প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। এটাতে বারমাস খেলাধুলা চলতে পারবে, সেই সুযোগটা আমরা করে দিচ্ছি। প্রাথমিক থেকে আজকে আমরা যে জাতীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে পারলাম পাশাপাশি আমরা এখন আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা সেটারও ব্যবস্থা করছি। তাই খেলাধুলার মাধ্যমে আজকের ছেলেমেয়েরাই আগামী দিনে পৃথিবীতেও একটা স্থান করে নিতে পারবে, সেই আশা পোষণ করেন শেখ হাসিনা।
ফুটবল হচ্ছে সবথেকে জনপ্রিয় খেলা। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। ফুটবল এগিয়ে যাক। এটাই আমরা চাই। আজকে যারা চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ হয়েছে, আমি আশা করি ভবিষ্যতে অন্য যারা অংশগ্রহণ করবে তারাও একদিন চ্যাম্পিয়ন হবে, রানার্স আপ হবে। মেয়েদের ফুটবলা খেলার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেও খেলা দেখেছি। এবারের খেলায় আমি দেখলাম। যদিও মেয়েদের খেলাটা দেখেছি, ছেলেদেরটা দেখতে পারিনি। আমার মনে হয়, ছেলেদের খেলাটাও দেখতে আসা উচিত ছিল। আগামীতে আমি চেষ্টা করব, দুটোই যাতে দেখতে পারি। আজকে আমাদের মেয়েরা অত্যন্ত চমৎকার খেলেছে এবং এজন্য সত্যি খুবই আনন্দিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনূর্ধ্ব দলগুলো থেকে যারা উঠে আসছে, এরাই তো একদিন আগামীতে আমাদের জাতীয় খেলাগুলোতে খেলবে এবং সেখানে আমাদের খেলার উৎকর্ষকতাও অনেক অনেক বৃদ্ধি পাবে। এতে আর কোনো সন্দেহ নেই বলে জানান তিনি। ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলসহ খেলায় অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতার হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।