পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নয়, কমাতে হবে এবং কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। অযৌক্তিকভাবে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ব্যবসায়ীদের ভর্তুকি দেওয়ার কারণে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে সরকার।
গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহŸায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বিবৃতিতে বলা হয়, গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর আবারও সরকারের নির্দেশে বিইআরসি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর গণশুনানিতে প্রদত্ত তথ্য, যুক্তি ও প্রাপ্ত ফলাফলের পরিপন্থি। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যুক্তিতে বলা হচ্ছে, দেশে গ্যাস সঙ্কটের কারণে তেলনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, সেই জন্য দাম বাড়াতে হয়েছে। এই বক্তব্য পুরোপুরি অসত্য। কারণ প্রথমত, গ্যাস সংকটের জন্য নয় বরং রাষ্ট্রীয় কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ না করে, বেশি ব্যয়বহুল বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের গ্যাস সরবরাহের কারণে এবং অযৌক্তিকভাবে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ব্যবসায়ীদের ভর্তুকি দেওয়ার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটির নেতারা বলেন, সরকার তার মহাপরিকল্পনা (পিএসএমপি ২০১৬) অনুযায়ী দেশের গ্যাস অনুসন্ধান স্থগিত করে এলএনজি-কয়লা আমদানির পথ ধরেছে, দেশ বিনাশী ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে, ব্যয়বহুল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। জাতীয় সক্ষমতা বিপর্যস্ত করে সরকার একদিকে সাগরের গ্যাস রপ্তানির বিধান রেখে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করছে, অন্যদিকে গ্যাস সঙ্কটের অজুহাতে সুন্দরবন বিনাশী প্রকল্প, ভয়ংকর ঝুঁকি ও বিপুল ঋণের রূপপুর প্রকল্পের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে তারা দাবি করেন। তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি কম দামে পরিবেশ সম্মতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প মহাপরিকল্পনা উপস্থিত করা সত্তে¡ও, সরকার তার মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ খাতকে ক্রমাগত কিছু দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর ডাকাতি ব্যবসার খাতে পরিণত করছে।
তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়েই বারবার বাড়ানো হচ্ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম। বাপেক্সকে বাদ দিয়ে দ্বিগুণ খরচে বিদেশি কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হচ্ছে। বাপেক্সকে বানানো হচ্ছে এখন সাব-কন্ট্রাক্টর। বিদেশি কোম্পানিকে আরও গ্যাসক্ষেত্র দেওয়া হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে উচ্চদামে গ্যাস কেনা হবে, আর বাপেক্স কম পয়সায় তাদের সব কাজ করে দেবে। সমুদ্রবক্ষের গ্যাস সম্পদ উজাড় করে তুলে দেওয়ার মতো চুক্তি করা হচ্ছে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সমালোচনা করে নেতারা বলেন, জনসাধারণের অর্থের অপচয় করে নাটক করবার জন্য বানানো হয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সেখানে গণশুনানিতে যুক্তি তথ্যে প্রমাণিত হয়েছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নয় বরং কমানো উচিত এবং তা সম্ভব। কিন্তু সরকারের আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া, দাম বাড়াতেই হবে! বারবার গ্যাস-বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য বোঝা হচ্ছে, সব পর্যায়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াচ্ছে। সবশেষ এই দাম বৃদ্ধিতে সব পর্যায়ে আরেক দফা উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, বাড়বে বাসা ভাড়াসহ অন্য সব দ্রব্যসামগ্রীর দাম, বাড়বে শিল্পকৃষি পণ্যের দাম, কমবে দেশের অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতার ক্ষমতা। বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করে জাতীয় কমিটি প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাত বিন্যাসের দাবি জানান নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।