পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিল্প, বাণিজ্যিক ও আবাসিক- প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুতের দাম আবারও বাড়িয়েছে সরকার। এর ফলে ভোক্তাদের প্রতি মাসে গুণতে হবে বাড়তি টাকা। খুচরা আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি বেড়েছে ৩৬ পয়সা। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে পাইকারি বিদ্যুতের দাম ও সঞ্চালন চার্জও।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন জানিয়েছে, বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে মার্চ মাস থেকে অর্থাৎ এপ্রিল মাসে গ্রাহকদের বাড়তি দামে বিদ্যুতের বিল দিতে হবে।
আবাসিক লাইফলাইন গ্রাহক: আবাসিক লাইফলাইন গ্রাহকদের (০ থেকে ৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম করা হয়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। এরপর সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে ০ থেকে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ১৯ পয়সা, দ্বিতীয় ধাপে ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিটের জন্য ৫ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ৭২ পয়সা, তৃতীয় ধাপে ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিটের জন্য ৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা, চতুর্থ ধাপে ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের ইউনিট মূল্য ৬ টাকা ০২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩৪ পয়সা, পঞ্চম ধাপে ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত ৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ৯৪ পয়সা এবং ষষ্ঠ ধাপে ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১ টাকা ৪৬ পয়সা করা হয়েছে।
সাধারণ আবাসি (নিম্ন মধ্যবিত্ত) গ্রাহক: নিম্ন মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম বাড়বে ৪৪ টাকা। যাদের আগে বিল আসতো ৭৫৯ টাকা তাদের বিল এখন বেড়ে দাঁড়াবে ৮০৩ টাকা। একইভাবে মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের দাম বাড়ছে ১১৪ টাকা। যাদের বিল আগে আসতো ১ হাজার ৯৫২ টাকা তাদের এখন বিল আসবে ২ হাজার ৬৬ টাকা।
সেচ গ্রাহক কৃষিতে সেচ গ্রাহকদের বাড়ছে ১৮৮ টাকা। আগে যেখান তাদের বিল আসতো ৩ হাজার ২৬০ টাকা, এখন দাম বাড়ার ফলে আসবে ৩ হাজার ৪৪৮ টাকা।
শিল্প গ্রাহক : ক্ষুদ্রশিল্প গ্রাহকদের বাড়ছে ৮১০ টাকা। আগে যেখানে তাদের বিল আসতো ১৬ হাজার ৫৫০ টাকা, এখন আসবে ১৭ হাজার ৩৬০ টাকা। মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এখন যাদের বিল আসে ৩ লাখ ২৬ হাজার, তাদের বিল বেড়ে দাঁড়াবে ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। বৃহৎ শিল্প গ্রাহকদের ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এখন যারা বিল দেন ১ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, দাম বাড়ার পর বিল দেবেন ১ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক: বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন থেকে সরবরাহ করা তথ্যে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ লাইফ লাইন গ্রাহকের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ( আরইবি)-এর অধীন ৭৫টি সমিতিতে ১ কোটি ২১ লাখ গ্রাহকের প্রত্যেকের বিল বাড়বে মাসে ৫ থেকে ৬ টাকা করে। আর বাকি ৫টি সমিতির ৬ লাখ গ্রাহক এবং ৫টি বিতরণ কোম্পানির ১১ লাখসহ মোট ১৭ লাখ লাইফ লাইন গ্রাহকের প্রত্যেকের বিল বাড়বে ১৫ থেকে ১৮ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর মাসে পিডিবি ও বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গত ২৮ নভেম্বর থেকে চার দিনব্যাপী গণশুনানি করে কমিশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।