পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত দাঙ্গাবাজ মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সা¤প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, আরএসএস এর সদস্য মোদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যদি আসে তাহলে বাংলাদেশের মানুষকে অপমান করা হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অসম্মান করা হবে।
গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে দেশটির সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে চলমান আন্দোলনে উগ্রবাদী হিন্দুদের সহিংস হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলও করে সংগঠনটি। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মুহাম্মদ রাশেদ খান, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক ও পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন, সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি বাংলাদেশের সকল মুক্তিকামী মানুষের নেতা। তার জন্মদিনে মোদি আসতে পারে না। যদি মোদি আসে তাহলে দেশে ছাত্র সমাজের রক্তের গঙ্গা বয়ে যাবে। ডাকসু ভিপি বলেন, মোদির হাতে মুসলিমদের, ভারতের গণমানুষের রক্ত লেগে আছে। সে একজন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গবাজ। যে দাঙ্গাবাজ গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মুসলিমদের ওপর ২০০২ সালে সহিংস হামলা চালিয়েছে। মোদির মতো সাম্প্রদায়িক লোককে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর মতো মহৎ অনুষ্ঠানে আমরা অংশ নিতে দেব না।
তিনি বলেন, আমরা ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে দাওয়াত করা হয়েছে, যেটিকে আমরা স্যালুট জানাই। কারণ তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চা করেন। এরকম প্রগতিশীল লোকদের দাওয়াত দেন, আমরা তাদের সম্মান জানাবো। কিন্তু মোদির মতো দাঙ্গবাজকে আমরা কোনভাবেই মেনে নেব না। বঙ্গবন্ধুর অনুষ্ঠানে মোদিকে এনে আমরা কলংকিত করতে দেব না। নুরুল হক বলেন, আইএস যদি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হয় তাহলে আরএসএসও আরেকটি সন্ত্রাসী সংগঠন। আর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) একটি সাম্প্রদায়িক দল। আরএসএসের মদদপুষ্ট সাম্প্রদায়িক বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছে ভারতকে একটি কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য। তাদের উগ্রচিন্তা ভাবনা থেকেই তারা মহত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিল। যেই উগ্রহিন্দুরা মহত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিল তারা তাদের হিন্দুত্ববাদ কায়েম করার জন্য যেকোন ধরণের নগ্ন কাজ করতে পারে। সেটি আর বলার অবকাশ নেই। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ভারতের হিন্দু, মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষ যখন সিএএ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেছে সেখানে অব্যাহতভাবে দাঙ্গবাজ বিজেপি হামলা চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি, সে বাংলাদেশের সংবিধানে লেখা আছে বাংলাদেশ সবসময় বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের পাশে থাকবে। আজকে ভারতে যে নিপীড়ন চলছে সেখানে নির্দিষ্টভাবে মুসলিমদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন মসজিদের মিনারে হনুমানের পতাকা উড়ানো হয়েছে। সেখানে ভারতের সব সুশীল মানুষ মোদির এ জঘন্ন এ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।