পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার জাপান। দেশটির ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের আবাসনশিল্প সহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছেন। বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ বিনিয়োগে জেসিএক্স ডেভেলাপমেন্টস লিমিটেড বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলেছে বেশ কিছু আবাসন প্রকল্প। কেবল মাত্র নান্দনিক শৈল্পিক ছোঁয়ার ফ্ল্যাটই নয়। জেসিএক্স ডেভেলাপমেন্টস লিমিটেড গড়ে তুলেছে আধুনিক সুবিশাল জেসিএক্স বিজনেস টাওয়ার। এমন অসংখ্য প্রকল্পে বিনিয়োগকারিদের সম্মানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে জাপান স্ট্রিট।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জেসিএক্স ডেভেলাপমেন্টস লিমিটেড জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে ফিতা কেটে জাপান স্ট্রিটের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, দেশের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং জেমস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জেসিএক্স ডেভেলাপমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল। তিনি অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের হাতে ফুল ক্রেস্ট তুলে দিয়ে সবাইকে স্বাগত জানান। আরও বক্তব্য রাখেন- খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ড. মুরশিদ কুলি খান, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও আব্দুল মাতলুব আহমাদ, ক্রিট গ্রুপের এমডি মাসানুপু কামিয়ামা প্রমুখ।
জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতি গঠনে জাপান অংশীদার হলেও প্রথমবারের মত জাপানের নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হলো। আমি খুবই আনন্দিত। এরমাধ্যমে বাংলাদেশের আবাসনখাত সহ নতুন নতুন খাতে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এটা মুজিববর্ষ। আগামী বছর স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করবে বাংলাদেশ। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সর্ম্পকেরও ৫০বছর উদযান করবো ২০২২ সালে। বর্তমানে জাপানের ৩০৯টি কোম্পানি বাংলাদেশ বিনিয়োগ করেছে। জাইকা মেগা প্রকল্প এমআরটি, আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি মানসম্পন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
জাপানের নামে সড়কটির নামকরণে ধন্যবাদ জানিয়ে নাওকি ইতো বলেন, হ্যা, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। জাপান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় অংশীদার। এখন বাংলাদেশে ৩০৯টি জাপানি কোম্পানি কাজ করছে। তারা দেখছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। সুতরাং, তারাও এখানকার প্রতিটা খাতে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে। একুশ শতকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হবে এটাই আমরা দেখতে চাই। সেই উন্নয়নে জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, জাপান আমাদের দীর্ঘদিন দিনের বন্ধু। অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাপানের বিনিয়োগ এ দেশে আরও আসা দরকার আবাসন খাতে। বসুন্ধরা চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার খুবই ব্যবসাবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৫ শতাংশ সুদে ২০ বছর মেয়াদী ঋণের সুযোগ দেয়ায় আমরা খুবই খুশি। এটা আবাসন খাতে বিনিয়োগের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করব তিনি যেন জাইকাকে এখানকার আবাসন খাতে বিনিয়োগের অনুরোধ করেন। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা যাতে ২-৩ শতাংশ সুদে ঋণ পেতে পারে। এটা আমাদের দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
জেমস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জেসিএক্স ডেভেলাপমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল বলেন, আবাসনশিল্পে বিনিয়োগ আনা ও বিনিয়োগকারিদের টাকা ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা এবং দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। এই সমস্যার সমাধান খুবই জরুরি। এটা না হলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আনা খুবই কঠিন হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহান, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ মোমেন ও সবুর খান, বারভিডা সভাপতি আব্দুল হক, বিকেএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান সহ দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।