পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি কিন্তু এদেশীয় দালালরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছে। আমাদের বাড়িতে যারা আশা-যাওয়া করতেন, আমার মা যাদের নিজহাতে রান্না করে খাওয়াতেন তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে ২১ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। দেশের কোনো মানুষ যেন গৃহহীন না থাকে সেজন্য দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সংগ্রাম পরিষদ ধর্মঘট ডাকে। এদিন সচিবালয়ের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক ছাত্রনেতা গ্রেফতার হন। ১৫ মার্চ তারা মুক্তি পান। ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু। কারাগার থেকেই তার দিক-নির্দেশনায় আন্দোলন বেগবান হয়। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা শহীদরা। বাঙালি জাতির প্রতিষ্ঠার পেছনে বায়ান্ন ও একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান থেকে ফিরে এলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি দেশ গঠনে মনোনিবেশ করলেন। কিন্তু পাকিস্তানের দোসররা ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিলো। তারা ভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে তাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করল। কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫-এর পর ২১টি বছর জাতির পিতার নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে আবারও মুছে ফেরার চেষ্টা করে পারেনি। সবচেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পালন করতে পারছি। বাংলাদেশকে কেউ এখন দারিদ্র্য, দুর্যোগপূর্ণ ও ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত দেশ বলতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী যে যেখানে আছেন, যে যার মতো পারেন সহযোগিতা করবেন বাংলাদেশের একটা মানুষও যেন গৃহহারা বা গৃহহীন না থাকে। প্রতিটি গ্রামে গ্রামে খোঁজ নিতে বলেছি নদীভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে, তাদেরকে আমরা ঘর করে দেব, আর যারা ভ‚মিহীন, গৃহহীন তাদেরকেও আমরা ঘর তৈরি করে দেব। প্রত্যেকটা মানুষের একটা ঠিকানা হবে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, গত ১১ বছরে আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা, শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে না, আমরা প্রযুক্তি শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়েছি। সারা বাংলাদেশে আজকে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার, ইন্টারনেট সার্ভিস দেয়া থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন সব কিছু আমরা ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। এই ত্যাগ কখনও বৃথা যায় না। আত্মত্যাগ বৃথা যায় না। বৃথা যেতে আমরা দেব না। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। মুজিববর্ষ সফল-স্বার্থকভাবে আমরা উদযাপন করব।
আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ এক দশকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মর্যাদা পেয়েছে। এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আমাদের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে, যেখানে এক সময় সবাই অবহেলার চোখে দেখত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।