পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব অনলাইন ডেস্ক : গুলশানের হোলি আর্টিসান রেস্তরাঁয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ছয় ‘হামলাকারী’র একজনের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর পুলিশ বলছে, তাদের একজনকে ভুলবশত হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত ওই ব্যক্তি হয়তো হামলাকারীদের হাতে জিম্মি ছিলেন। কিন্তু তাকে হামলাকারী ভেবে হত্যা করা হয়েছে।
ঢাকায় পুলিশের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিহত ওই ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম চৌকিদার। হোলি আর্টিসান বেকারিতে তিনি পিৎজা বানাতেন।
শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের পর আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো তারা ছয় জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে।
কিন্তু আইএসের দেওয়া পাঁচজন জিহাদির ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার আরেকজন ‘জঙ্গি’র পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
এর মধ্যেই পুলিশ নিহত পাঁচজনের মরদেহের ছবি প্রকাশ করে। তখন আইএসপিআরের বক্তব্য অনুযায়ী ষষ্ঠ হামলাকারীর হদিস নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
তারপরেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে পুলিশ যে ৫ জনের মৃতদেহের ছবি প্রকাশ করেছে তাদের একজন জঙ্গি নন। তিনি ওই রেস্তোরাঁর একজন বাবুর্চি। হামলার সময় জিহাদিরা তাকেও জিম্মি করে রেখেছিলো।
হামলার চারদিনের মাথায় ঢাকার গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই মামলায় পাঁচজন জঙ্গিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
ছয়জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়ে থাকলে পাঁচজনকে আসামী করা হলো কেনো বিবিসি বাংলার এই প্রশ্নের জবাবে ওই থানার একজন পুলিশ বলেছেন, নিহতদের মধ্যে একজন ওই রেস্তোরাঁর কুক ছিলেন বলে তারা পরে জানতে পেরেছেন।
তবে ওই কুক নিরাপত্তার বাহিনীর গুলিতে নাকি হামলাকারীদের হাতে মারা গেছেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেন নি। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।