পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জম্মশতবার্ষিকীতে দেশের মানুষের কাছে আমাদের অঙ্গীকার সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। যখন আমাদের পদ্মা সেতু হবে, তখন এ এলাকার অর্থনৈতিক চেহারার পরিবর্তন হবে। সে সময় সকল ছেলে মেয়েদেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। গতকাল বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এটা স্বাভাবিক সারা বিশ্বে মানুষ তাদের কর্মসংস্থানের জন্য অনেক কষ্ট করেন। তারা কাজের জন্য মানুষ পায় না। আর আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছে। আমাদের ১৫ থেকে ৫৯ বয়সের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হচ্ছে ৬১ ভাগের মতো। এরা সবাই কর্মক্ষম। এদের যারা লেখাপড়া করেছে আমরা তাদের কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে সুন্দর করে যাতে তারা ভালো চাকরি পায় সে ব্যবস্থা করবো। যাদের সেটা সম্ভব নয়, তারাও যাতে কিছু করে খেতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করে দেব অবশ্যই। আমরা এটা বলতে পারি আজকে যারা বড় হচ্ছে, যারা স্কুলে লেখাপড়া করছে। তাদের কখনো চাকরির অভাব হবে না। এখানে চাকরি হবে। গোপালগঞ্জে আমরা ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্যাক্টরি করে দিয়েছি। এখানে অসংখ্য কারখানা হবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটি চিন্তা ছিল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। এ দেশের সকল মানুষ যারা না খেয়ে থাকে, এদের খাবার যোগান দেয়া। যাদের কর্মসংস্থান নেই, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেয়া। বঙ্গবন্ধুর চিস্তা চেতনায় ছিলো একটি স্বাধীন দেশ। আর স্বাধীন দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং তারা কেউ না খেয়ে থাকবে না। তাদের বাসস্থানের অভাব থাকবে না। তারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না। একটা আলোকিত সমাজ ব্যবস্থা তিনি কায়েম করার চেষ্টা করেছিলেন। এর মাধ্যমে স্বপ্ন দেখতেন একদিন বাঙালি জাতি সারা বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে সবার ওপরে অবস্থান নেবে। এ ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। আমরা সেই স্বপ্নটি বাস্তবায়ন করার জন্য যা যা করা দরকার, আমরা অবশ্যই তা করবো।
এর আগে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।