পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সমাজের অবক্ষয় রোধে দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মাদক, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি। সুতরাং দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। গতকাল রোববার সকালে মিরপুর সেনানিবাসে কমান্ড্যান্ট, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) কোর্সের সমাপনী এবং গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, তার সরকার দেশের যুব সমাজের যোগ্যতা, জ্ঞান এবং শক্তিকে দেশের স্বার্থে কাজে লাগাতে চায়।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে চলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি তাদের আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে তারা যেকোনো দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে এবং যেকোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে যেখানে কাজ করেছে, মানবিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে সেখানকার মানুষের হৃদয় জয় করেছে। আমি যখন বিদেশে যাই বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান তাদের সঙ্গে যখন দেখা হয়, যারা আপনাদের সঙ্গে কাজ করেছে, তারা যখন প্রশংসা করে গর্বে আমার বুক ভরে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সুমহান দায়িত্ব যেমন পালন করছে, আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট অবদান রেখে যাচ্ছে। কিন্তু একটি বিষয় বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়ার জন্য আমি অনুরোধ করব, সেটা হচ্ছে সমাজে যখন ‘ব্যাধি’ দেখা যায় সেটা নিয়ে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ১১ বছর আমি মনে করি, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বক্ষেত্রে আমরা আধুনিক সাজ সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি সাধন করতে পেরেছি।
গ্রামপর্যায়ে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, কোনো গ্রাম আর অবহেলিত থাকবে না। গ্রামের মানুষ যারা বসবাস করে তারা সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা পাবে। সেইভাবেই আমরা আমাদের প্রতিটি গ্রামকে সাজাতে চাই, গড়ে তুলতে চাই এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও আমরা করে দিতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। সেই নীতিমালা নিয়েই আমরা রাষ্ট্রপরিচালনা করছি। সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি আমরা লাভ করেছি।
আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোর্স সম্পন্নকারী অফিসারদের মাঝে গ্র্যাজুয়েশন সনদপত্র (পিএসসি) বিতরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে সকল গ্র্যাজুয়েটদেরকে সাফল্যের সাথে কোর্স সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি তাদের সকলকে নতুন দায়িত্বে মনোযাগী হয়ে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য উপদেশ প্রদান করেন। তিনি সামরিক বাহিনী কমান্ড ও ষ্টাফ কলেজের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্ল্যাহ স্বাগত ভাষণ দেন। কমান্ড্যান্ট তার ভাষণে বলেন, এ বছরের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে কেননা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এক মহতী লগ্নে এই গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর ডিএসসিএসসি ২০১৯-২০২০ কোর্সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১২৫ জন অফিসার, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৩৪ জন অফিসার, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২২ জন অফিসার এবং চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, ফিলিপাইন, সৌদিআরব, সিয়েরালিয়ন, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, সুদান, তানজানিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাম্বিয়া থেকে আগত ৫৪ জন অফিসারসহ সর্বমোট ২৩৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মন্ত্রী, ভারপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.শামসুল হকসহ উচ্চপদসহ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।