পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন ও প্রভাবমুক্ত থেকে বিচারকার্য পরিচালনা করছে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে বিচার বিভাগ জনগণের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। আমরা জনগণের মাঝে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। অপরাধীর কোনো দল নেই। তার পরিচয় কেবলই অপরাধী এবং অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক না কেন তার বিচার হবে।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশে বা সংসদে না থাকায় তার প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়। সংসদীয় আইন অনুযায়ী কোনো কার্যক্রম টেবিলে উত্থাপিত হওয়ার পর সেই প্রশ্নোত্তর পর্ব বা কার্যক্রম বৈধতা পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত পাঁচ বছরে বিচার বিভাগ দেশের বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র-সংক্রান্ত মামলা, সিলেট ও খুলনায় আলোচিত দুই শিশু সামিউল আলম রাজন ও রাকিব হত্যা মামলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলা এবং জাপানি নাগরিক কুর্নিও হোশি হত্যার মামলাসহ চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করেছে। তাছাড়া হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং জঙ্গিবাদ উসকে দেয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল। হলি আর্টিসান হামলায় সাতজন আসামির মৃত্যুদন্ডের রায় প্রদান করে বিচার নিষ্পত্তির মাধ্যমে এ চক্রান্ত রুখে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের বিচার বিভাগ কর্তৃক ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা, ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী হত্যা মামলা, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মিম ও আব্দুল করিম রাজীবের মামলা, গাইবান্ধার সংসদ সদস্য লিটন হত্যা মামলাসহ বহুল আলোচিত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এসব হত্যাকান্ড শুধু আলোচিত ঘটনায় নয়। এসব হত্যাকান্ড মানুষের সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের নামান্তর। কিন্তু আমরা বিচার বিভাগের মাধ্যমে দ্রুততার মাধ্যমে এসব মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আসামিরা যাতে সাজা পায় এবং নিরপরাধরা নির্যাতনের শিকার না হয়, সে বিষয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সজাগ রয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীকে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমরা বিচার বিভাগের কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।